এবার থাইল্যান্ড সীমান্তে জান্তার ঘাঁটি দখলে নিলো বিদ্রোহীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মার্চ ১০, ২০২৪, ০৮:০৮ পিএম

এবার থাইল্যান্ড সীমান্তে জান্তার ঘাঁটি দখলে নিলো বিদ্রোহীরা

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারে এবার থাইল্যান্ড সীমান্তের উপকণ্ঠে মায়াবতী শহরে জান্তার একটি কার্যালয় ও থানা দখলে নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) ও তাদের সহযোগীরা। গতকাল শনিবার (৯ মার্চ) শহরটির থিঙ্গানিনাউঙ্গ অঞ্চলে জান্তার ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন-২৫৫-এর পতন হয়।

থাইল্যান্ড থেকে প্রকাশিত মিয়ানমারের বার্তা সংস্থা ইরাবতীর খবরে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এশিয়া হাইওয়েতে মায়াবতী ও কাওকারেইক শহরের সীমান্তের মধ্যে থিঙ্গানিনাউঙ্গে থাকা ঘাঁটির পতনের পর কেএনএলএ পাশের ৩৫৬ ও ৩৫৭ নম্বর ঘাঁটিতে হামলা শুরু করেছে। এদিকে জান্তার পক্ষ থেকে কেএনএলএকে রুখতে বিমান ও গোলা হামলা করা হচ্ছে।

কেএনএলএর এক প্রতিরোধযোদ্ধা বলেন, ‘আমরা ৩৫৬ নম্বর ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে লড়াই করছি। সেখানকার বেশির ভাগ সেনা পালিয়ে গেছে। অল্প কিছু সেনা সেখানে অবস্থান করছে। ৩৫৫ ও ৩৫৬ ঘাঁটির সেনারা হামলা রোধে ৩৫৭ নম্বর ঘাঁটিতে যোগ দিয়েছে।’

তিনদিন ধরে চলমান এই লড়াইয়ে শতাধিক বোমা হামলা করেছে জান্তা বাহিনী। এ হামলায় ৬০টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘গত শুক্রবার বোমা হামলার পর সেখানকার বেশির ভাগ লোকজন পালিয়ে গেছেন। নিজেদের জিনিসপত্র রক্ষায় প্রায় ৬০ জন সেখানে অবস্থান করছেন। থিঙ্গানিনাউঙ্গে প্রায় ৭ হাজার বেসামরিক লোক বসবাস করেন। তাদের বেশির ভাগই মায়াবতী শহর বা আশপাশের গ্রামগুলোতে পালিয়ে গেছেন।’

গত শুক্রবার জান্তার বিমান হামলায় নাই নুয়াং গ্রামের দুজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পাঁচজন নিহত হয়েছেন। কিন্তু জান্তা সেনার হতাহতের সংখ্যা জানা সম্ভব হয়নি। মিয়ানমারের মানবাধিকার সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত দেশটিতে জান্তার হামলায় ৪ হাজার ৬৫৪ জন নিহত হয়েছেন। তাদের হাতে আটক হয়েছেন ২৬ হাজার ২২৮ জন।

Link copied!