ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়া

‘হামলায় রাতভর ঘুমাতে পারেনি আমাদের সন্তানরা’

বিবিসি

এপ্রিল ১৫, ২০২৪, ১০:১৫ এএম

‘হামলায় রাতভর ঘুমাতে পারেনি আমাদের সন্তানরা’

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলে ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়া ভিন্নতর হতে পারতো। যদি ইসরায়েলিদের জবাব শক্তিশালী না হতো। তেল আবিব জানায়, দেশটিতে ৩০০ ড্রোন, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৯ শতাংশই ইরান ও তার মিত্ররা ছুড়েছে।

শনিবার হামলার ঘটনায় গতকাল রোববার ইসরায়েল যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে, তখন ইরানকে মোক্ষম জবাব দিতে ইসরায়েলিরা মুখিয়ে আছে। সবাই আশা করছে, ইরানের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা হোক। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইরানে হামলা করলে ইসরায়েলকে সমর্থন দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।

জেরুজালেমের বাসিন্দা এরিয়েল (৫৪) বলেন, ‘এই শক্তি থেকে সুরক্ষা পেতে আমাদের একটি ঢাল আছে। (ইরানের হামলা) আগে থেকেই আঁচ করা গেছিল। ধারণা করছি, ইসরায়েল জবাব দেবে। তবে আশা করছি, (বড় আকারের) যুদ্ধ বাঁধবে না।’

দামেস্কে কনস্যুলেটে হামলার পর থেকেই ইসরায়েলকে দোষারোপ করে আসছিল ইরান। দিয়ে আসছিল একের পর এক হুঁশিয়ারিও। সেই অনুযায়ী ইসরায়েলে ইরানের হামলা আগে থেকেই ঠাওর করা গেছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মিত্র দেশগুলো আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিল।

পরিস্থিতি আরও খারাপ না হওয়ার আশা প্রকাশ করে জেরুজালেমের আরেক বাসিন্দা আইনাত (৪৪) বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই জানতাম যে ইরান হামলা করতে চলেছে। এ অবস্থায় আমরা কিছুটা হতোদ্যোম হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু আমরা জানি, আমাদের দারুণ একটা ঢাল আছে।’

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য মিত্র দেশের সহযোগিতা করা অন্যতম দায়িত্ব। তবে বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, যদি ইরানকে জবাব দেয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন হারাবে ইসরায়েল।

ইরানের হামলাকে বিভীষিকা উল্লেখ করে জেরুজালেমের আরেক বাসিন্দা মোরান (৪১) বলেন, ‘মধ্যরাতে ইসরায়েলে ইরানের হামলা ছিল এক বিভীষিকা। রাতভর আমাদের সন্তানরা ঘুমাতে পারেনি। তবু আমরা বিশ্বাস করি, বিশ্বে আমাদের শক্তিশালী সেনাবাহিনী আছে। আমরা বিশ্বাস করছি, এই সেনাবাহিনী আমাদেরকে সুরক্ষা দেবে। আমি মনে করছি, আমাদের উচিত ইরানকে মোক্ষম জবাব দেওয়া। কিন্তু ওয়াশিংটনের আপত্তির কারণে আমরা সেটা পারছি না।’

বিশ্লেষণ করেছেন বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য সংবাদদাতা (জেরুজালেম) হুগো বাচেগা

Link copied!