বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে ঘোষিত ভিসা নীতির মতো জর্জিয়ার জন্যও অনেকটা একই ধাঁচের বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
চলতি বছর অক্টোবরে জর্জিয়ায় জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই দেশটিতে গণতন্ত্রকে দুর্বলের জন্য দায়ী বা জড়িতদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ঘোষণায় বলা হয়েছে, গত কয়েক মাসে ক্ষমতাসীন জর্জিয়ান ড্রিম পার্টি একটি ‘বিদেশি প্রভাব’ আইন তৈরি ও পাস করেছে। এই আইন সংগঠন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অনুশীলনকে দমন করবে। সেই সঙ্গে জর্জীয়দের সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো ও উচ্চমানের তথ্য প্রাপ্তির মাধ্যমকে কলঙ্কিত ও বাধাগ্রস্ত করবে।
এতে বলা হয়, জর্জীয়রা যখন এই আইনের বিরোধিতা করেছে, তখন আমরা ভয় দেখানোর প্রচারণা ও ভিন্নমত দমনে সহিংসতা ব্যবহারের স্পষ্ট ইঙ্গিত দেখেছি। ‘জাতীয় সুরক্ষা আইন’ ও বৈধ ভিন্নমত দমনে ব্যবহৃত দমনমূলক কৌশল- উভয়ই জর্জিয়ার গণতন্ত্র ও জনগণের মৌলিক স্বাধীনতার পরিপন্থী। এই আইন জর্জিয়ার দীর্ঘ-ঘোষিত লক্ষ্যের বিপরীতে, যা এর সংবিধানে প্রতিফলিত ইউরো-আটলান্টিক সংহতকরণ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিপরীতে।
এতে আরও বলা হয়েছে, জর্জিয়ার নতুন আইনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া হিসাবে দেশটির জন্য একটি নতুন ভিসা সীমাবদ্ধতা নীতি বাস্তবায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। জর্জিয়ার গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য হবে। এর মধ্য দিয়ে সহিংসতা বা ভয় দেখিয়ে নাগরিক সমাজ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা দমনে দায়ীরাও অন্তর্ভুক্ত আছেন।
জর্জিয়ার সরকারকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কেউ ক্ষুণ্ণ করলে অক্টোবরের নির্বাচন চলাকালীন ও তার পরেও এই নীতির অধীনে বিধিনিষেধ দেওয়া হবে। যে কেউ ভিসার জন্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে। এই জাতীয় ব্যক্তিদের নিকটতম পরিবারের সদস্যরাও এই বিধিনিষেধের আওতায় আসতে পারেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আরও বলছে, আমাদের আশা- জর্জীয় নেতারা খসড়া আইনটি পুনর্বিবেচনা করবেন এবং তাদের জাতির গণতান্ত্রিক ও ইউরো-আটলান্টিক আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এগোনোর পদক্ষেপ নেবেন। আমরা যখন আমাদের দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক পর্যালোচনা করবো, তখন আমরা আমাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে জর্জিয়ার পদক্ষেপগুলো বিবেচনায় নেবো।