ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: পক্ষে-বিপক্ষে চলছে বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অক্টোবর ১৫, ২০২৩, ০৯:১৯ এএম

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: পক্ষে-বিপক্ষে চলছে বিক্ষোভ

ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। ছবি: রয়টার্স

হামাসের হামলার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর সরকার এবং অনেক নাগরিক ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানালেও গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা বর্ষণ ও সৃষ্ট মানবিক সংকট ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে মানুষের ক্ষোভ বাড়াচ্ছে। মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ বিভিন্ন দেশে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

এ অবস্থায় গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করছেন। অনেকে দেশে ইসরায়েলের সাথে সংহতি প্রকাশ করে সমাবেশ করছেন ইহুদি সম্প্রদায়ের লোকজন।

রোমে একটি বিশাল ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে বিক্ষোভকারীরা মিছিল করেছেন। অন্যদিকে ডেনমার্ক, জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভে নেমেছে মানুষ।  নিউইয়র্কে টাইম স্কয়ারে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভ হয়।

মুসলিম দেশগুলোও ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

তুরস্কে বিক্ষোভকারীরা মসজিদের বাইরে জনতা জড়ো হয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। বাগদাদে তাহরির স্কয়ারে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে সমাবেশ করে কয়েক হাজার ইরাকি।

হামাসের সমর্থনে ইরান জুড়েও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। অন্যদিকে লেবাননে ফিলিস্তিন এবং হিজবুল্লাহর পতাকা হাতে ‘ইসরায়েলের ধ্বংস, ইহুদিবাদের ধ্বংস!’ বলে স্লোগান দিতে দিতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ পালন করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে প্যারিসে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে ফরাসি পুলিশ। সংঘাতের আশঙ্কায় ফ্রান্স সরকার ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে।

ইসরায়েলের সমর্থনেও বেশ কিছু শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রার্থনা হয়েছে। বিক্ষোভ থেকে সংঘাত সৃষ্টির আশঙ্কায় পশ্চিমা দেশগুলোতে ইহুদি উপাসনালয় ও স্কুলগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

নিরাপত্তা সংকটের কারণে নেদারল্যান্ডসে ইহুদিদের স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস পর্যন্ত প্রধান শহরগুলোতে ইহুদি এবং মুসলমান অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে পুলিশের উপস্থিতি জোরদার করা হয়েছে।

ইসরায়েল এবং আমেরিকান ইহুদি সম্প্রদায়ের সমর্থনে ওয়াশিংটনের ফ্রিডম প্লাজায় পুলিশের নিরাপত্তায় প্রায় ২০০ মানুষ বিক্ষোভ করেন।

লন্ডনের রাস্তাতেও টহল বাড়িয়েছে পুলিশ। স্কুল, সিনাগগ ও মসজিদ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইহুদিবিদ্বেষ বেড়ে যাওয়ায় তারা এই ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য গত ৭ অক্টোবর আচমকা রকেট হামলা হয় ইসরায়েলে। হামাসের চালানো সে হামলায় ১৩শরও বেশি ইসরায়েলি মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে এ হামলার বিপরীতে ইসরায়েল অব্যাহত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়। খাদ্য, চিকিৎসাসহ সব ধরনের সহযোগিতা-সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে ১৫শরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।

Link copied!