ইস্তাম্বুলে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক: পুতিন জানালেন, ‘আশা জাগছে’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫, ০৫:১২ পিএম

ইস্তাম্বুলে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক: পুতিন জানালেন, ‘আশা জাগছে’

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের দূতাবাস সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ছয় ঘন্টা লম্বা বৈঠক করেছে। দুই দেশের কূটনীতিকরা বৃহস্পতিবার এ বৈঠক করেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

বৈঠকের পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা ‘আশা জাগাচ্ছে’।  

ওয়াশিংটনের ইউরোপীয় মিত্র ও কিইভের তুমুল উদ্বেগের মধ্যে দুই দেশের এই বৈঠককে তাদের সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের প্রথম ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

গত বছর জো বাইডেনের প্রশাসনের সময়ে ক্রেমলিন দুই দেশের সম্পর্ককে ‘শূন্যের নিচে’ নেমে গেছে বলে বর্ণনা করেছিল; ডনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ইউক্রেইনকে একপাশে সরিয়ে মস্কো ও ওয়াশিংটন এখন কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছে, লিখেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই ইউক্রেইন যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মস্কোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর ছয়দিন পর দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সৌদি আরবে বৈঠক করেন। তারই ধারাবাহিকতায় তুরস্কে দুই দেশের কূটনীতিকরা বসলেন।

রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, ইস্তাম্বুলে মার্কিন কনসাল জেনারেলের বাসভবনে বৃহস্পতিবারের এ আলোচনা প্রায় ছয় ঘণ্টা পর শেষ হয়।

ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে সাম্প্রতিক এই দহরম মহরমে ইউক্রেইন ও এর ইউরোপীয় মিত্ররা বেশ উদ্বিগ্ন।

তাদের আশঙ্কা, ট্রাম্পের মস্কোপন্থি কূটনীতির ফলে ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে এমন এক চুক্তি হতে পারে, যা কিইভ ও ইউরোপের স্বার্থকে বিবেচনায় নেবে না এবং তাদের নিরাপত্তাকে দুর্বল করবে।

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি যুদ্ধ দ্রুত থামিয়ে রক্তপাত বন্ধ করতে চান।

চলতি সপ্তাহে পুতিনও সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আস্থা পুনর্স্থাপিত না হলে কোনো সফল চুক্তি সম্ভব নয়।

বৃহস্পতিবার রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে করা মন্তব্যে পুতিন বলেন, “আমি লক্ষ্য করেছি যে, নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে প্রথম বৈঠক কিছুটা আশার সঞ্চার করেছে।”

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে আস্থা তৈরি এবং ‘বিভ্রান্তিকর বিষয়গুলো দূর করার লক্ষ্যে ইস্তাম্বুল আলোচনা কার্যকর ভুমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবারের আলোচনাকে গঠনমূলক অ্যাখ্যা দিয়েছে ওয়াশিংটন।

জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে উভয় দেশই নিজ নিজ ভূখণ্ড থেকে অন্য দেশের দূতাবাস কর্মীদের বহিষ্কার করেছিল।

বৃহস্পতিবারের আলোচনায় কর্মী নিয়োগ, ভিসা ও কূটনৈতিক ব্যাংকিংয়ের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল, জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শীঘ্রই আরেকটি বৈঠক হবে, তবে তারিখ ও স্থান এখনও ঠিক হয়নি, বলেছে তারা।

Link copied!