ভারতে থাকার সময় শেষ হয়ে আসছে শেখ হাসিনার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আগস্ট ২৪, ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম

ভারতে থাকার সময় শেষ হয়ে আসছে শেখ হাসিনার

শেখ হাসিনা

সরকারি চাকরিতে কোটা বৈষম্যের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-আন্দোলন ও পরবর্তীতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছাড়তে বাধ্য হন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে তিনি ৩ সপ্তাহ ভারতে কাটিয়ে ফেলেছেন। গত সপ্তাহেই শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের সবার কূটনীতিক লাল পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশ সরকার। এদিকে ভারতে অবস্থানের সময়ও ক্রমশ শেষ হয়ে আসছে শেখ হাসিনার।

বিষয়টি নিয়ে শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেল চারটা ২৭ মিনিটে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার কূটনীতিক লাল পাসপোর্ট যেহেতু বাতিল করা হয়েছে, সেজন্য নিয়ম অনুযায়ী তার ভারতে অবস্থানের সময় শেষ হয়ে আসছে।

বাংলাদেশের শীর্ষ জাতীয় দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট দেশ ছাড়ার সময় শেখ হাসিনার কাছে শুধু লাল পাসপোর্টই ছিল। তার সঙ্গে ওই সময় সাধারণ সবুজ পাসপোর্ট ছিল না।

এদিকে ভারতের ভিসা নীতি অনুযায়ী, যেসব বাংলাদেশির কাছে কূটনীতিক লাল পাসপোর্ট রয়েছে তারা ভিসা ছাড়াই ভারতে প্রবেশ ও সর্বোচ্চ ৪৫ দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারেন। সেই অনুযায়ী শনিবার পর্যন্ত শেখ হাসিনা ভারতে সময় কাটিয়ে ফেলেছেন ২০ দিন। ফলে বৈধ উপায়ে আর মাত্র ২৫ দিন ভারতে থাকতে পারবেন তিনি, এরপরই অবৈধ হয়ে যাবেন শেখ হাসিনা।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কূটনীতিক লাল পাসপোর্ট বাতিল হওয়ায় ভারত থেকে বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের ঝুঁকি বেড়েছে। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫১টি মামলা করা হয়েছে। যার মধ্যে ৪২টি হত্যা মামলা। এসব মামলায় তার বিরুদ্ধে বিচার শুরু হবে। শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়টি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সংঘটিত প্রত্যর্পণ চুক্তির মধ্যে পড়বে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

চুক্তিটি যদিও ২০১৬ সালে সংশোধন করা হয়েছে। এতে বলা হয় রাজনৈতিক বিবেচনায় দায়ের করা মামলার আসামি হলে অভিযুক্তকে প্রত্যর্পণ বা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানানো যাবে। কিন্তু এই চুক্তিতে হত্যা মামলার বিষয়টি স্পষ্টভাবে রাজনৈতিক বিবেচনা বহির্ভূত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া যদি মামলা ‘ন্যায়বিচার না করার জন্য করা হয়’ তাহলেও অভিযুক্তকে প্রত্যর্পণ না করার ক্ষেত্রে অস্বীকৃতি জানাতে পারে দুই দেশ।

Link copied!