জানুয়ারি ১৪, ২০২৪, ১১:৩৭ এএম
শনিবার হয়ে গেল তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী লাই চিং-তে জয়ী হয়েছেন। আর এতেই ফুঁসে উঠেছে বেইজিং। কারণ চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ডের অংশ মনে করে এবং তাইওয়ান বিষয়ে চীনের এ দাবি নতুন কিছু নয়। বরং শি জিনপিং এই একত্রীকরণের বিষয়টিকে একটি লক্ষ্যে পরিণত করেছেন।
তাইওয়ানের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ৯৯ শতাংশ ভোট কেন্দ্রের ব্যালট গণনা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, লাই চিং ৪০.১৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনপন্থি দল কুওমিনতাং দলের প্রার্থী হুও-ইউ-ই পেয়েছেন ৩৩.৪৪ শতাংশ ভোট।
নির্বাচনে চীনবিরোধী ডিপিপির প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার জন্য বেইজিংয়ের তরফ থেকে কঠোর হুঁশিয়ারই ছিল। নির্বাচনের আগে সমীকরণ এমন দাঁড়িয়েছিল যে, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার অর্থ হবে চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আহ্বান। তবে নির্বাচনে তাইওয়ানের ভোটাররা চীনের সতর্কবার্তাকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
শনিবারের ভোটের রায়ের আরেকটি মানে হলো তাইওয়ানকে ঘিরে উত্তেজনা অব্যাহত থাকা এবং প্রতিদিনই চীনা জাহাজ এবং সামরিক বিমানের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটতে থাকা।
চীন সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে তার অসন্তুষ্টির বার্তা দিতে পারে, যেমনটি তারা করেছিলো ২০২২ সালে তখনকার যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের সময়। তাইপে তখন চীনের বিরুদ্ধে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে অবরুদ্ধ করার অভিযোগ এনেছিলো।
চীন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপও বাড়াতে পারে। তাইওয়ানের বিভিন্ন কোম্পানি, পণ্য ও ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞাও দিতে পারে।
গত কয়েক মাসে তাইওয়ানের অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে। এর নির্বাচনটি ছিলো ব্যাপক আলোচনার। তবে ভোটারদের উৎসাহ ছিল স্পষ্ট।
যদিও একই সময়ে বাড়ির দাম বেড়ে যাওয়া, বেতন না বাড়ানো ও চাকরীর সুযোগ কমে যাওয়ার কারণে ডিপিপির ওপর থেকেও দৃষ্টি সরিয়ে নিয়েছিলো অনেক ভোটার।
প্রেসিডেন্ট লাইয়ের পথ খুব একটা সহজ ছিল না। এখনো তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে হোয়াইট হাউজে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিরে আসে, সেজন্যও।