১৫ বছর পর দেশে ফিরেই কারাগারে থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আগস্ট ২২, ২০২৩, ০২:১৮ পিএম

১৫ বছর পর দেশে ফিরেই কারাগারে থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন

ছবি: রয়টার্স

দীর্ঘ ১৫ বছর স্বেচ্ছা নির্বাসন শেষে দেশে ফেরা মাত্রই গ্রেফতার হয়েছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা । পরে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয় তাকে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ব্যক্তিগত জেট বিমানে করে ধনকুবের থাকসিন ব্যাংককের ডন মুয়াং বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এসময় বিমানবন্দরে আসা শত শত ভক্ত সমর্থক গান গেয়ে, উল্লাস প্রকাশ করে ও ঐতিহ্যবাহী ‍‍`লাল শার্ট‍‍` পরে তাকে স্বাগত জানান।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫ বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন শেষে আজ দেশে ফিরেই গ্রেফতার হয়েছেন । থাকসিনের দলের মনোনীত প্রার্থী স্রেথা থাভিসিনকে  প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেওয়ার ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি গ্রেফতার হন।

বিমানবন্দর থেকে থাকসিনকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালত তাকে ৩টি অভিযোগে ৮ বছরের কারাদণ্ড ভোগের আদেশ দেন। এর আগে, থাকসিনের অনুপস্থিতে তার বিরুদ্ধে সাবেক শিন কর্প প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট মামলা এবং ১টি ব্যাংক ঋণ ও ১টি লটারির মামলার বিচারের রায়ে ওই কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। ৭৪ বছর বয়সী থাকসিন ৪ মামলায় অভিযুক্ত হন। তবে ১টি মামলার বিচারের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের ফুটবল দল ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক মালিক থাকসিন থাইল্যান্ডের দুইবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। প্রথমবার ক্ষমতায় আসেন ২০০১ সালে। ২০০৬ সালে সামরিক অভুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। পরে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দায়ের হলে  গ্রেফতার এড়াতে ২০০৮ সালে দেশ ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলে যান থাকসিন সিনাওয়াত্রা।

দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকলেও থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন থাকসিন। তিনি আধুনিক যুগে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং একই সঙ্গে সবচেয়ে বিতর্কিত রাজনীতিক।

থাকসিনের রাজনৈতিক দলের বর্তমান সংস্করণ থাই ফেউ এর নেতৃত্বে গঠিত জোটের নেতা হিসেবে মঙ্গলবার স্রেথা থাভিসিনের থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হওয়ার কথা। স্রেথা থাভিসিন দেশটির একজন প্রথম সারির ব্যবসায়ী।  তাই বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কারাগারে গেলেও বেশি দিন তাকে রাখা সম্ভব হবে না। কারণ থাই ফেউ দলের নেতাকর্মীরা খুব শিগগিরই এই নেতাকে দলের শীর্ষ পদে ফের দেখতে চায়।  

Link copied!