আফগানিস্তানে সেলুন বা ম্যানস পার্লারে কর্মরত কর্মচারীরা কোনো ব্যক্তির দাড়ি কামাতে পারবে না বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে তালেবান প্রশাসন। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ হেলমন্দ প্রদেশের সেলুনগুলোতে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দিয়েছে তারা। খবর বিবিসি’র।
দাড়ি কামানো ইসলামী আইনের পরিপন্থী উল্লেখ করে ওই বিজ্ঞপ্তিতে হেলমন্দ প্রাদেশিক তালেবান কর্তৃপক্ষ জানায়, যারাই এই আইনের ব্যত্যয় ঘটাবেন তাদের শাস্তি পেতে হবে। তালেবানের ধর্ম পুলিশ এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়, দক্ষিণ হেলমন্দ প্রদেশের সেলুনগুলোতে একটি বিজ্ঞপ্তি ঝোলায় তালেবান। এতে তালেবান সতর্ক করে দিয়ে বলছে, চুল এবং দাড়ি কাটার ক্ষেত্রে অবশ্যই নাপিতদের শরিয়া আইন মানতে হবে। এ ব্যাপারে কারো অভিযোগ জানানোর অধিকার নেই।
রাজধানী কাবুলের কিছু সেলুনের কর্মচারী জানিয়েছেন, তালেবানের তরফ থেকে ওই রকম বার্তা তারাও পেয়েছেন। কাবুলের এক জনপ্রিয় সেলুনের কর্মচারীর বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, তালেবানের সদস্যরা তাদের কাছে প্রায়ই আসে এবং দাড়ি ছাটা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। তালেবানের এক সদস্য ওই সেলুনের কর্মচারীদের জানায়, তারা ইসলামী শরিয়া মেনে কাজ করছে কি না তা ধরার জন্য গোপনে পরিদর্শক পাঠানো হবে।
১৯৯৬ সালে আফগানিস্তানে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে তালেবান এ ধরণের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর অভিযানে ২০০১ সালে তালেবানের পতনের পর দেশটিতে ফের ক্লিন শেভ ও নানা ধরনের চুলের স্টাইল জনপ্রিয় হতে থাকে। দেশটির শহরগুলোতে অত্যাধুনিক সেলুনও খুলতে শুরু করে। তবে তালেবানের জারি করা বিজ্ঞপ্তির ফলে ফের ক্লিন শেভ ও হেয়ার স্টাইল উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলো।