এক বর্ণময় অধ্যায়ের ইতি টেনে অন্তিমযাত্রায় রানী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২, ০৫:২৫ পিএম

এক বর্ণময় অধ্যায়ের ইতি টেনে অন্তিমযাত্রায় রানী

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সিংহাসনে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আসীন ও বিশ্বের প্রবীণতম রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য হবে আজ। ব্রিটেনকে দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে শাসন করে আসা এই রানিকে তাই রাজকীয়ভাবেই জানানো হবে বিদায়। স্বামী প্রিন্স ফিলিপের পাশেই শায়িত হবেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

রানীর শেষকৃত্যের আয়োজনটিতে বিভিন্ন দেশের সম্রাট, বাদশাহ, রাজা-রানি, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীদের মহামিলন ঘটেছে। রবিবার রাতে আমন্ত্রিত রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা প্রথমবারের মতো একত্র হয়েছেন বাকিংহাম প্রাসাদে রাজা তৃতীয় চার্লসের আমন্ত্রণে এক সংবর্ধনায়। আর আজ মৃত্যুর দ্বাদশ দিনে তাঁরা অংশ নেবেন ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানীর জন্য আয়োজিত রাষ্ট্রীয় প্রার্থনায়।



আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যমতে, স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় অতিথিদের জন্য ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবের দরজা খুলে দেয়া হবে। পরে সাড়ে ১০টার দিকে রয়্যাল নেভির গাড়িবহরে রানীর মরদেহ সেখানে নেওয়া হবে। এ সময় তার কফিনের পাশে নতুন রাজা তৃতীয় চার্লস, তার ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি থাকবেন। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। ১৯৫২ সালে ব্রিটেনের রানী হিসেবে দ্বিতীয় এলিজাবেথের অভিষেক হয়। মৃত্যুর পর তার জ্যেষ্ঠপুত্র চার্লস ব্রিটেনের নতুন রাজা হচ্ছেন।



শেষকৃত্যে অংশ নিচ্ছেন যেসব বিশ্বনেতা

সারা বিশ্বের প্রায় ৫০০ রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিদেশি নেতা আজ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগ দেবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোববার লন্ডনে পৌঁছেছেন এবং সেখানে তিনি একটি আনুষ্ঠানিক শোক বইতে স্বাক্ষর করেছেন।

এছাড়া ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ছাড়াও জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমায়ার, ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও ম্যাটারেলান্ড এবং আইরিশ তাওইসাচ মাইকেল মার্টিন রানির শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকবেন।



কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ এবং নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নসহ কমনওয়েলথ দেশগুলোর কিছু নেতা লন্ডনে পৌঁছেছেন আগেই। শেষকৃত্যে প্রত্যাশিত অন্যান্য কমনওয়েলথ নেতাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে।

ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু। চীন তার ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং কিশানকে রানীর শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছে।

এদিকে যুক্তরাজ্যে সোমবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শেষকৃত্যে বিশ্ব নেতাদের আগমন ঘিরে স্মরণকালের সবচেয়ে কঠোর নিরাপত্তার আয়োজন করেছে লন্ডন পুলিশ।



এরপর বেলা ১১টায় অতিথিদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় বাণী পাঠ করা হবে। পরে রানিকে শ্রদ্ধা জানাতে দুই মিনিট নীরবতা পালন করা হবে। বাজানো হবে জাতীয় সংগীত। পরে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে থেকে হাইড পার্কে ওয়েলিংটন আর্কে রানির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে।

বিকেল ৩টার দিকে রানীর মরদেহ উইন্ডসর ক্যাসলে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে রানীকে সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে নওয়া হবে। সন্ধ্যায় রানীর স্বামী ডিউক অব এডিনবার্গের পাশে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।

Link copied!