ইরান যে ভয়ঙ্কর ইরবিলে ক্ষেপনাস্ত্র হামলাই তার প্রমাণ: যুক্তরাষ্ট্র

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ১৪, ২০২২, ০১:২৩ পিএম

ইরান যে ভয়ঙ্কর ইরবিলে ক্ষেপনাস্ত্র হামলাই তার প্রমাণ: যুক্তরাষ্ট্র

ইরাকে সীমান্তবর্তী কুর্দি এলাকার রাজধানীতে রবিবার চালানো ক্ষেপনাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানাল যুক্তরাষ্ট্র। ইরান ওই হামলাটি চালায়। ইরাকের উত্তর কুর্দির আঞ্চলিক রাজধানী এরবিলে আঘাত হানে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো। শীর্ষস্থানীয় একজন মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্রধারী ইরান কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, ওই হামলার মাধ্যমে সেটা প্রমাণিত হয়েছে। 

fateh 110 missile

ইরানের ফাতেহ ক্ষেপণাস্ত্র: ফাইল ছবি

রবিবার সিবিএসের ‘ফেস দ্য নেশন’ প্রোগ্রামে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেন, ইরানের ওই হামলায় কোনো মার্কিন নাগরিক বা মার্কিন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তবে এর দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে, ইরান কতটা বিপজ্জনক হতে পারে। এ অবস্থায় ইরাককে আত্মরক্ষার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সহায়তা দিতে কাজ করছে ওয়াশিংটন।

সুলিভান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার জনগণ, স্বার্থ এবং মিত্রদের রক্ষার জন্য যা যা করা দরকার তা-ই করবে। আমরা ইরাকি সরকার এবং ইরাকি কুর্দিস্তানের সরকারের সাথে পরামর্শ করছি, তাদের শহরগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠানো হবে।

a view of a damaged conference room at the kurdistan 24 tv

ক্ষতিগ্রস্ত কুর্দিস্তান ২৪ টেলিভিশন চ্যানেলের অফিসের চিত্র

জেক সুলিভান বলেন, এ হামলার মাধ্যমে এটি ধারণা করা যায় যে, ইরানের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ইরানের বিপ্লবী গার্ড, আরআইজিসি গতকাল রবিবার ভোররাতে ইরাকের উত্তর কুর্দির আঞ্চলিক রাজধানী এরবিলে ইসরায়েলের কৌশলগত কেন্দ্র লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইরানের আধা-সরকারি তাসনিম বার্তা সংস্থা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ইরান ১০টি ফাতেহ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটির পাল্লা প্রায় ৩০০ কিলোমিটার।

ইরান জানিয়েছে, সিরিয়ার দামেস্কের কাছে ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলের ওই হামলায় বিপ্লবী গার্ডের দুই সদস্য নিহত হন। এবার প্রতিশোধ নেওয়ার পর ইরান দাবি করেছে, পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের ওই কৌশলগত কেন্দ্রের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, সেখানে এ ধরনের কেন্দ্রের কোনো অস্তিত্বই ছিল না। তাদের এ হামলায় কেবল মার্কিন কনস্যুলেটের কাছে অবস্থিত কুর্দিস্তান ২৪ টেলিভিশন চ্যানেলের অফিসের কিছু ক্ষতি হয়েছে।

সূত্র: আরবনিউজ।

Link copied!