২০১১ সালের মার্চ মাসে সিরিয়াতে বিক্ষোভকারীদের ওপর দমনপীড়নের নির্দেশ দেন দেশটির রাষ্ট্রপতি বাশার আল আসাদ। বাশারের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। প্রাণ হারায় প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ। বাস্তুচ্যুত হয় দুই কোটি ৩০ লাখেরও বেশি অধিবাসী। এ ঘটনায় দেশটির সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেয় আরব দেশগুলোর সংস্থা আরব লীগ। দীর্ঘ ১ যুগ পর সিরিয়াকে সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৭ মে) মিশরের রাজধানী কায়রোতে আরব লীগের সদর দপ্তরে সংস্থার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সিরিয়াকে সদস্য হিসেবে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১৯৪৫ সালে যে ছয়টি দেশ মিলে আরব লীগ গঠন করেছিল সিরিয়া তার একটি। আগামী ১৯ মে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলন। এর আগেই সিরিয়াকে সংস্থার সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দামেস্কের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন আঞ্চলিক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছিল।
গত সপ্তাহে সিরিয়াকে আরব লীগে ফিরিয়ে নিতে জর্ডানের উদ্যোগে মিশর, ইরাক, সৌদি আরব ও সিরিয়ার কূটনীতিকদের মধ্যে বৈঠক হয়। সে সময় আশ্বাস দেওয়া হয়, সংস্থার শীর্ষ বৈঠকের আগেই সিরিয়াকে আরব লীগে ফিরিয়ে আনা হবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, আরব লীগে যুক্ত হলেও সিরিয়া সরকারের প্রতি তাদের নীতির কোনো পরিবর্তন হবে না। সিরিয়াকে ‘দুর্বৃত্ত’ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা মার্কিন প্রশাসন আরব দেশগুলো প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, সিরিয়াকে ফেরানোর বিনিময়ে তারা যেন বাশার আল আসাদের কাছ থেকে কিছু আদায় করে।