করোনা ভাইরাসের ধরন ওমিক্রন মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আংশিক ধ্বংস করতে পারলেও পুরোপুরি পারে না। ফলে ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেও টিকা গুরুতর পরিস্থিতি থেকে সুরক্ষা দেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষকরা এই তথ্য জানিয়েছেন।
ওমিক্রন নিয়ে শঙ্কিত পুরো বিশ্ব। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) পর্যন্ত বিশ্বের ১৫টি দেশে করোনার ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হচ্ছে করোনার এই নতুন ধরন। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ আফ্রিকার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বা সীমাবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার নয়টি প্রদেশের পাঁচটিতেই নতুন ধরন শনাক্ত করা হয়েছে। গত একদিনে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা রোগীর সংখ্যাও দ্বিগুণ বেড়েছে। এ সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় ৮ হাজার ৫৬১ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজেস (এনআইসিডি) জানায়, গত নভেম্বরে ২৪৯টি ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সের ৭৪ শতাংশেই ওমিক্রন ধরন পাওয়া গেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রতি সপ্তাহে সংগৃহীত নমুনার ছোট একটি অংশরই জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়। কতটি নমুনায় ওমিক্রন ধরন পাওয়া গেছে তা নির্দিষ্ট করে জানায়নি এনআইসিডি।
এনআইসিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, মিউটেশন প্রোফাইল এবং ভাইরাসের ছবি পরামর্শ দেয় যে ওমিক্রন আমাদের কিছু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করতে সক্ষম। তবে ভ্যাকসিন থেকে গুরুতর রোগ এবং মৃত্যুর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়।