তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের বিজয়কে গণতন্ত্রের জয় হিসেবে অভিহিত করে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, ‘আজ কেউ হারেনি। আমরাই একমাত্র বিজয়ী নই। এই নির্বাচনে তুরস্কের জয় হয়েছে, আমাদের গণতন্ত্র জয়ী হয়েছে। এখন আমাদের জাতীয় লক্ষ্য এবং জাতীয় স্বপ্নকে ঘিরে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়।’
সোমবার (২৯ মে) তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফা ভোটের প্রাথমিক ফলাফলের পর রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট ভবনের সামনে জড়ো হন হাজার হাজার সমর্থক।
এর আগে, রবিবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিলের (ওয়াইএসকে) চেয়ারম্যান প্রেসিডেন্ট পদে এরদোয়ানের পুনর্নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট পদে জয়ের হ্যাটট্রিক করলেন এরদোয়ান, অভিনন্দন জানাচ্ছেন বিশ্বনেতারা
আঙ্কারায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ওয়াইএসকে প্রধান আহমেত ইয়েনার বলেন, দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটে এরদোয়ান বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কামাল কিলিচদারোগলুকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছেন।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৯৯.৪৩ শতাংশ ব্যালট গণনা সম্পন্ন হয়েছে এবং অনানুষ্ঠানিক ফলাফল অনুসারে, তুরস্কের ক্ষমতাসীন এ প্রেসিডেন্ট ৫২.১৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৭.৮৬ শতাংশ ভোট।
গত ১৪ মে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট হয়। প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট পদে কোনো প্রার্থী এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত না করতে পারায় নতুন করে এ ভোট নেয়া হয়।
প্রথম দফা ভোটে এরদোয়ান পেয়েছিলেন ৪৯.৫২ শতাংশ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিচদারোগলু পান ৪৪.৮৯ শতাংশ ভোট। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীই প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী ১৪ দিন পর দ্বিতীয় দফা ভোট হয়।
প্রথম দফা ভোটে তৃতীয় স্থান পেয়েছিলেন সিনান ওগান। তিনি পেয়েছিলেন ৫.২০ শতাংশ ভোট। গত ২২ মে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দ্বিতীয় দফা ভোটে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে সমর্থন করার কথা জানান তিনি।