তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে চীনা সামরিক বিমান

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ৩, ২০২২, ০১:৫৩ পিএম

তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে চীনা সামরিক বিমান

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ানে বিতর্কিত সফরের পরিপ্রেক্ষিতে চীন-মার্কিন যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। এরইমধ্যে চীন সামরিক তৎপরতার পাশাপাশি তাইওয়ানে নানা পণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মঙ্গলবার ২০টিরও বেশি চীনা সামরিক বিমান তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করে মহরা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তাইপেইয়ের কর্মকর্তারা।

চীনের বারংবার আপত্তির মুখেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি স্ব-শাসিত দ্বীপটিতে বিতর্কিত সফর শুরু করেন। যদিও দ্বিপটিকে তার অঞ্চল বলেই মনে করে বেইজিং।

মঙ্গলবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় টুইটারে এক বিবৃতিতে জানায়, ২১টি পিএলএ বিমান ২ আগস্টে তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিম এডিআইজে (আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চল) প্রবেশ করেছে।

এডিআইজে তাইওয়ানের আঞ্চলিক আকাশসীমার সমান নয়, তবে চীনের নিজস্ব আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলের বিরাট অংশের সঙ্গে একীভূত করা, এমনকি মূল ভূখণ্ডের কিছু অংশও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

চীনের ধারাবাহিক কঠোর সতর্কতা এবং হুমকি উড়িয়ে দিয়ে পেলোসি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাইওয়ানে অবতরণ করেন, যা বিশ্বের দুই পরাশক্তির মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। ২৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম তাইওয়ান সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কর্মকর্তা।

টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারে দেখা গেছে, ৮২ বছর বয়সী আইনপ্রণেতা পেলোসি একটি মার্কিন সামরিক বিমানে উড়ে এসেছেন। তাইপেইয়ের সোংশান বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ তাকে অভ্যর্থনা জানান।

তাইওয়ানে পৌঁছানোর পর এক বিবৃতিতে পেলোসি বলেন, আমাদের এই সফর তাইওয়ানের প্রাণবন্ত গণতন্ত্রকে সমর্থন করার জন্য। তার এই সফর তাইওয়ান এবং বেইজিংয়ের প্রতি মার্কিন নীতির সাথে কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক নয়।

তাইওয়ান বলেছে, পেলোসির এই সফর তাদের প্রতি ওয়াশিংটনের শক্ত সমর্থনেরই বহিঃপ্রকাশ। এই সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
পেলোসি বর্তমানে এশিয়া সফরে রয়েছেন। তিনি বা তার অফিসের কেউই আগে থেকে তাইপে সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। একাধিক মার্কিন এবং তাইওয়ানের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে যদিও বলা হয়, এটি সফরসূচিতে ছিল। যা বেইজিংয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি করছে।

চীনের সামরিক বাহিনী বলছে, তারা ‘উচ্চ সতর্কতায়’ রয়েছে এবং এই সফরের প্রতিক্রিয়ায় তারা সুনির্দিষ্ট সামরিক পদক্ষেপের একটি সিরিজ শুরু করবে।

তারা অবিলম্বে তাইওয়ান প্রণালীতে ‘দীর্ঘ-পাল্লার গোলা বর্ষণ’ এবং বুধবার থেকে দ্বীপের (তাইওয়ান) চারপাশের জলসীমায় ধারাবাহিক সামরিক অনুশীলনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।

বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যারা আগুন নিয়ে খেলে, তারা এর দ্বারা ধ্বংস হবে।

সূত্র: রয়টার্স ও এনডিটিভি

Link copied!