ব্রিটেনে নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজ্যে বসেন রাজতন্ত্রের একজন প্রতিনিধি। সেই নিয়মে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ রাজ্যের দায়ভার গ্রহণ করেন। তাঁর কার্যকালে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন ১৫ জন। আর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসেছেন ১৪ জন। ব্রিটেনে দীর্ঘকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেলে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্যালেসে মারা যান এলিজাবেথ। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। জীবনের ৭০ বছর তিনি ব্রিটেনের সিংহাসনে আসীন ছিলেন। এ বছরই তার সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর উদযাপিত হয়েছে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সব রেকর্ড ভাঙেন তিনি।
এলিজাবেথ ১০ বছর বয়সে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী ছিলেন। শৈশব বয়সে ব্রিটিশদের ইতিহাস-ঐতিহ্য, ভাষা ও সঙ্গীতসহ বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করাতেন তৎকালীন বিখ্যাত শিক্ষকরা। আর ১৯৪৭ সালের ২০ নভেম্বর এলিজাবেথের বিয়ে হয়।
এলিজাবেথের বাবা প্রিন্স অ্যালবার্ট, ডিউক অব ইয়র্ক ছিলেন রাজা পঞ্চম জর্জের ছোট ছেলে। বড় ছেলে অষ্টম এডওয়ার্ডের রাজা হওয়ার কথা থাকলেও বিবাহ-বিচ্ছিন্নাকে বিয়ে করায় রাজা হতে পারেননি। ফলে ১৯৩৬ সালের ১১ ডিসেম্বর ব্রিটেনের রাজা হন এলিজাবেথের বাবা প্রিন্স অ্যালবার্ট। ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি প্রিন্স অ্যালবার্ট মারা যান। তখন এলিজাবেথের বয়স ছিল মাত্র ২৫ বছর। ১৯৫৩ সালে ২ জুন ২৭ বছর বয়সে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মুকুট মাথায় নেন এলিজাবেথ।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা এই ব্রিটিশ শাসক প্রায়শই প্রজাতন্ত্রের অনুভূতি এবং রাজপরিবারের চাপে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন। ১৯৯৭ সালে পুত্রবধূ ডায়ানার মৃত্যুর পর, ব্যাপক সমালোচিত হন এলিজাবেথ।