রাশিয়া বুধবারে যুদ্ধ শুরু করে না বলে জানিয়েছে মস্কো। পশ্চিমা গোয়েন্দাদের খোঁচা দিয়ে রাশিয়ার সরকারী দপ্তর বলছে, গণমাধ্যম ব্যবহার করে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানোই যুক্তরাষ্ট্রের কাজ। ইউরোপিয় ইউনিয়নে রুশ দূত ভালাদিমির চিজোভ জানিয়েছেন, “গোটা ইউরোপের ইতিহাস বলে, এই এলাকায় খুব কম সংখ্যাক যুদ্ধই বুধবারে শুরু হয়েছে। আমি কিছুটা নিশ্চিত হয়ে বলতে চাই সামনের বুধবারে ইউক্রেনে হামলা হবে না, এমনকি সামনের সপ্তাহ, তার পরের সপ্তাহ অথবা একমাস পরেও।“
আর একটু বাড়িয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন; লিখেছেন, “দয়া করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যদি বলে দিতো, পরবর্তি কবে, কোথায় রাশিয়া হামলা চালাবে তা হলে আমাদের অনেক উপকার হতো, কোথায় আনন্দ ভ্রমণের নতুন তারিখ ঠিক করা যায় তা ভেবে নিতাম।”
প্রপাগণ্ডা ছড়িয়ে যুদ্ধ বাধানোই পশ্চিমাদের কাজ জানিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার সহকারী রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পোলিয়ানস্কি পশ্চিমা নেতাদের ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
এর আগে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিলো, বুধবারে ইউক্রেনে হামলা চালাবে রাশিয়া। মারিয়া লিখেছেন, “১৬ ফেব্রুয়ারী, বুধবারতো চলে গেলো, কই আমরা তো কোন হামলা চালাইনি। তাহলে তাদের তথ্যের উৎস কি! সম্ভবত আপনারা আপনাদের ক্যালেন্ডার দেখেননি।”
পশ্চিমাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে এ দিনটিকে ডে অব ইউনিটি হিসেবে ঘোষণা করে ইউক্রেন। যেকোন হামলা একসঙ্গে প্রতিরোধের ঘোষণাও দেয় দেশটি। সীমান্ত থেকে রাশিয়া সৈন্য সরিয়ে নিচ্ছে এমন সংবাদ বের হলেও পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো বলছে, সৈন্য প্রত্যাহারের দৃশ্যত কোন চিত্র দেখছে না তারা, রাশিয়া সৈন্য সংখ্যা আরও বাড়াচ্ছে বলে ধারণা ন্যাটোর।
আরও পড়তে পারেন-
ব্যারাকে ফিরছেন রুশ সৈন্যরা-আপাতত হচ্ছে না হামলা