ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩, ০৯:২৫ এএম
শক্তিশালী ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গেছে তুরস্ক-সিরিয়ার বেশ কয়েকটি শহর। দেখলে মনে হবে যেনো ধ্বংসস্তুপ। উদ্ধার কাজ চলছে পুরোদমে। মৃত্যুমিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন মরদেহ। এ পর্যন্ত দুই দেশে মৃত্যুসংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এদের বেশির ভাগই তুরস্কের। অন্যদিকে, সিরিয়ায়ও লাফিয়ে বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার লাইভ আপডেটে ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ২৩ হাজার ৭০০ উল্লেখ করলেন ভারতীয় গণমাধ্যম মিন্ট ও ইকোনমিকটাইমস’র প্রতিবেদনে এই সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজারের বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তুরস্কের ২০ হাজার ৫৩০ এবং সিরিয়ায় ৩ হাজার ৫০০ জন।
ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। সময় যত গড়াচ্ছে ততই ক্ষীণ হয়ে আসছে ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকাদের জীবিত উদ্ধারের আশা। তারপরও উদ্ধারকারীরা জীবিতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তুরস্কে ভূমিকম্পের ১০৪ ঘণ্টা পর এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহর কাহরামানমারাসের কিরিখান এলাকার একটি বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ওই নারীকে বের করে আনে উদ্ধারকর্মীরা। উদ্ধারের পরপরই তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেয়া হয়।
উদ্ধার কার্যক্রমে সাহায্য করতে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া সম্মিলিত উদ্ধারকারী দল কাজ শুরু করেছে। তারা আদিয়ামান শহরে ১৭ বছরের এক বালিকাকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এর সাথে ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে তারা।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কিছুক্ষণ পর ফের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প এবং পরে আরও অনেকগুলো আফটারশক হয়।
তুরস্কে এর আগে ১৯৩৯ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে পূর্ব এরজিনকান প্রদেশে ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৯ সালে দেশটির ডুজসে অঞ্চলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।