জাতিসংঘে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি ভারত–চীন–রাশিয়া

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ২৪, ২০২২, ১২:৩৬ এএম

জাতিসংঘে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি ভারত–চীন–রাশিয়া

জাতিসংঘে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি ভারত, চীন ও রাশিয়া। ৭৪ বছরের মধ্যে মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রথম কোনো প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি ছিল এটি। বিশেষ করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত জাতীয় ঐক্য সরকারকে (এনইউজি) সেনাবাহিনী উৎখাত করার পর থেকে মিয়ানমারে সহিংসতার অবসান এবং রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে প্রস্তাবে।

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি এবং সে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ত-সহ সে দেশে বন্দি সব রাজনৈতিক নেতাকে মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়ে এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। তবে এই প্রস্তাবের বিষয়ে সে দেশের জান্তা সরকার এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

ভোটাভুটি থেকে ভারত কেন বিরত থাকলো, সেই প্রসঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ জানান, মিয়ানমারের পরিস্থিতি অত্যন্ত ‘জটিল’। তাই ‘শান্তভাবে ও ধৈর্য ধরে’ পদক্ষেপ করতে চায় ভারত। সেজন্য জাতিসংঘে পেশ হওয়া প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে নয়াদিল্লি।

জাতিসংঘের গৃহীত বিবৃতিতে অবিলম্বে মিয়ানমারে গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে। সেই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর উচিত মানুষের ইচ্ছাকে সম্মান করা। গত বছর ৮ নভেম্বরে হওয়া সাধারণ নির্বাচনের ফল মেনে জরুরি অবস্থার অবসান ঘটানো।

‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সামরিকতন্ত্র থেকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত আইনপ্রণেতাদের পার্লামেন্টে যেতে দেওয়া। পাশাপাশি প্রজাতন্ত্রকে প্রাধান্য দিয়ে সব জাতীয় প্রতিষ্ঠান এমনকি সামরিক বাহিনীকে কাজ করতে দেওয়া।’

এই বিবৃতিতে সই করেছে বিশ্বের ১১৯টি দেশ। ভোটদানে বিরত থেকেছে ৩৬টি দেশ। একমাত্র বেলারুশ বিবৃতির বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। ভারত, রাশিয়া-সহ চীন সই দেয়া থেকে বিরত ছিল।

সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৭৭ বছরের সু চি ও তার সঙ্গীদের আটক করেছিল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তারপরে দুর্নীতি, জনরোষে মদদ দেওয়া, কোভিডবিধি ভেঙে নির্বাচনী প্রচার চালানোর মতো অসংখ্য অভিযোগ এনে সুচিদের জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

Link copied!