মার্কিনিদের সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি বৈঠকেই হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছে তালেবান। তারা মার্কিনিদের সতর্ক করে বলেছে, তালেবান সরকারকে অস্থিতিশীল না করতে। শনিবার (১০ অক্টোবর) কাতারের রাজধানী দোহায় দুপক্ষের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আফগানিস্তানের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তালেবান বলেছে, তারা আফগানিস্তানে কখনোই নির্বাচন দেবে না। তবে একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক সরকার গঠনে তাদের আপত্তি নেই।
কাতারের দোহায় শুরু হওয়া দুদিনব্যাপী এই বৈঠকের প্রথম দিন ছিল শনিবার। প্রথম দিনের বৈঠক শেষে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেন, ‘আফগানিস্তানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারে আপত্তি নেই আমাদের’।
এরইমধ্যে তালেবান সরকারে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে নারীদেরও সরকারে যুক্ত করা হবে জানিয়েছে তারা।
গত ১৫ আগস্ট পশ্চিমা-সমর্থিত আশরাফ ঘানি সরকারকে হটিয়ে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গোষ্ঠীটি। তবে পশ্চিমা দেশগুলো বলেছে, আফগানিস্তানে নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ব্যাপারে তালেবানের দৃষ্টিভঙ্গি কী হয়, সেটির ওপরই নির্ভর করছে স্বীকৃতি। এমন বাস্তবতায় তালেবানের সঙ্গে বৈঠকে বসলো যুক্তরাষ্ট্র।
এ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের আফগানবিষয়ক উপ-বিশেষ প্রতিনিধি টম উয়েস্ট এবং ইউএসএআইডির মানবিক সহায়তাবিষয়ক কর্মকর্তা সারাহ চার্লস।
বৈঠকে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ ফেরত দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানায় তালেবান। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে আফগানিস্তানে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিক, গ্রিন কার্ডধারী ও অন্য মার্কিন মিত্রদের নিরাপদে সরিয়ে আনার বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে। তা ছাড়া আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে বৈঠকে তালেবান প্রতিনিধিদের চাপ দেবেন তাঁরা।