বেটা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ডিসেম্বর ২৩, ২০২১, ০৮:২৮ পিএম
গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকিতে থাকা ১২ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে ফাইজার কোম্পানির করোনাভাইরাস প্রতিরোধী মুখে খা্ওয়ার পিল ব্যবহারের অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বুধবার (২২ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) ‘প্যাক্সলোভিড’ নামে ওই পিলের অনুমোদন দেয়।
ফাইজার কোম্পানির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য থেকে জানা গেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ পিল ‘প্যাক্সলোভিড’ গুরুতর অসুস্থতার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করা ও মৃত্যু প্রতিরোধে প্রায় ৯০ শতাংশ কার্যকর। কোম্পানিটি জানিয়েছে, ওষুধটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তারা এখনই সরবরাহ করতে প্রস্তুত।
বার্তা সংস্থা্ রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাইজার কোম্পানির মুখে খা্ওয়ার পিল দ্রুত ছড়াতে থাকা করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিরুদ্ধেও একটি নতুন অস্ত্র হিসেবে কাজ করবে।
ফাইজার কর্তৃপক্ষ বলছে, গবেষণাগার থেকে পাওয়া সাম্প্রতিক তথ্যে ওষুধটি ওমিক্রণের বিরুদ্ধেও এর কার্যকারিতা ধরে রাখে এমন ধারণা পাওয়া গেছে।এর ফলে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে মুখে খাওয়ার মাধ্যমে ও বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করার একটি উপায় বের হলো।
‘প্যাক্সলোভিড’ পিল অনুমোদন করায় সন্তোষ জানিয়ে জনস হপকিন্স ইনস্টিটিউট ফর হেলথ সিকিউরিটির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী আমেশ আদালজা বলেছেন, “এটির অনুমোদন আরেকটি বড় মাইলফলক। কোভিড-১৯ কে আরও ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখার পথে এটি আরেকটি পদক্ষেপ।”
এদিকে, চলতি বছর ১ লাখ ৮০ হাজার ট্রিটমেন্ট কোর্স সরবরাহের জন্য প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে ফাইজার কর্তৃপক্ষ। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকার এরই মধ্যে ওষুধটির ১ কোটি কোর্স কেনার চুক্তি করেছে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) পর্যন্ত দেশটিতে মোট ৫ কোটি ২৫ লাখ ১০ হাজার ৯৭৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮ লাখ ৩৩ হাজার ২৯ জন।
দেশটির করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আরও টিকাদান কর্মসূচী পরিচালনা ও কোভিড পরীক্ষা কেন্দ্র করার ঘোষণা দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতেই জরুরিভিত্তিতে কোভিডের ওরাল পিলের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন।
