লুহানস্ক ‘জয়ে’ রুশ সেনাদের বিশ্রাম নিতে বললেন পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুলাই ৫, ২০২২, ০৯:২২ এএম

লুহানস্ক ‘জয়ে’ রুশ সেনাদের বিশ্রাম নিতে বললেন পুতিন

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ও কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর লুহানস্ক ‘জয়’ করায় ওই অঞ্চলে যুদ্ধরত রুশ সেনাদের বিশ্রাম নিতে বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। লিসিচানস্ক ‘মুক্ত’ করার জন্য ওই সেনাদের অভিনন্দনও জানান পুতিন। 

সোমবার প্রকাশিত বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগুর সঙ্গে এক টেলিভিশন বৈঠকে পুতিন বলেন, “লুহানস্ক অঞ্চল দখলের অভিযানে জড়িত সেনাদের বিশ্রাম নেওয়া উচিত তবে অন্যান্য সামরিক ইউনিটগুলোকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।”

এর আগে রবিবার রুশ বাহিনী লিসিচানস্ক নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে পুতিনকে জানিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু।

গুরুত্বপূর্ণ লুহানস্ক অঞ্চল দখলে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে লুহানস্কের গভর্নর সেরহি হাইদাই বলেছেন এবার মস্কোর চোখ দোনেৎস্কের দিকে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “লুহানস্কের গভর্নর সেরহি হাইদাই বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার বলেছেন, লুহানস্ক দখলে নেওয়ার পর রাশিয়ার বাহিনীর এখন প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিবেশী দোনেৎস্কের পুরো অঞ্চল দখল করা। তারা সেটাই করতে যাচ্ছে।”

এখন পুরো দোনেৎস্ক দখলের জন্য সেখানকার স্লোভিয়ানস্ক শহরে ‘প্রচণ্ড লড়াই’ শুরু হয়েছে। এরেই মধ্যে  রুশ বাহিনীর হামলায় সেখানে ৬জন নিহত ও ২০ জন আহতের বিষয়টি স্বীকার করেছে জেলেনস্কি সরকার।

প্রসঙ্গত, উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করা নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় মস্কো-কিয়েভের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো।

তবে ওই কৌশল কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এর দুদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।

Link copied!