এবার মিসাইল টেস্ট করবে রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২, ১১:৫৪ পিএম

এবার মিসাইল টেস্ট করবে রাশিয়া

ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালাবে, নাকি চালাবে না? বিশ্বের প্রথমসারির গণমাধ্যমগুলো এ নিয়েই নানা বিচার বিশ্লেষণ চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যাপক কূটনৈতিক আলোচনার পর ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে বেলারুশের সঙ্গে চলা ১০ দিনের যৌথ সামরিক মহড়া শেষ না করেই কিছু সৈন্যকে ব্যারাকে ফেরত পাঠান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপরও সাবেক সোভিয়েতের অংশ ইউক্রেন ও দেশটির মিত্র হিসেবে পরিচিতি পাওয়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য অভিযোগ করে আসছে সৈন্য কমছে না, বরঞ্চ আরও বাড়ানো হচ্ছে। এমন অবস্থায় শনিবার বড় ধরণের সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিলেন পুতিন। বলেছেন মহড়া নিজে তদারকি করবেন।

মহড়ায় পারমানবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক ও ক্রজ মিসাইল পরীক্ষা করা হবে। মস্কো জানিয়েছে, পরমানু যুদ্ধের ক্ষেত্রে নিজেদের প্রস্তুতিটাও একটু ঝালাই করে নিতে চাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশটি।

রুশ প্রতিরক্ষা দপ্তর ক্রেমলিন জানিয়েছে, নিয়মিত অনুশীলনের অংশ হিসেবে এই পরীক্ষা করা হবে,তবে সময়টি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় পরিস্কার করেই বলতে হচ্ছে ইউক্রেনে হামলার কোন ইচ্ছা রাশিয়ার নেই।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ জানিয়েছেন, ইউক্রেন সীমান্তের কাছে আরও ৫০ হাজার সৈন্য বাড়িয়ে এখন প্রায় দেড় লক্ষ সৈন্য জড়ো করেছে রাশিয়া। আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে হোয়াইট হাউজ বলেছে, সীমান্তে রুশ সৈন্যের সংখ্যা ১ লাখ ৯০ হাজারে দাড়িয়েছে। ২০১৪ সালে হামলা চালিয়ে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়াকে আলাদা করে নিজেদের দখলে নেয় রাশিয়া। এরপর থেকে ডোনবাসসহ ইউক্রেনের বেশ কিছু শহরে রুশপন্থীদের বিক্ষোভে সমর্থন দিয়ে আসছে মস্কো। বিক্ষোভকারীরা রাশিয়ার অংশ হতে চান। বর্তমান অবস্থায় রাশিয়ার দাবি, পশ্চিমা ও ইউরোপের ৩০টি দেশের সামরিক সংগঠন ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে না ইউক্রেন। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, নিজেদের নিরাপত্তা পিছু হটার সুযোগ নেই তাদের। এমন অবস্থায় সৈন্য সংখ্যা বাড়ানো মোটেও ভাল খবর নয়, এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা। 

চলমান উত্তেজনার মধ্যে জার্মানির বেভারিয়া রাজ্যের রাজধানী মিউনিখে দুদিনব্যাপী বার্ষিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে বসেছেন ইউরোপ ও বিশ্বের কয়েকটি দেশের নেতারা। বৈঠকে যোগ দিতে মিউনিখে পৌছেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যামেলা হ্যারিস।

মিউনিখে ক্যামেলা হ্যারিস

মিউনিখে ১৩টি দেশের রাষ্ট্র প্রধানের সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে তার। ১৯৯৯ সালের পর এই প্রথম বৈঠকে অংশ নিচ্ছে না রাশিয়া। গত নভেম্বর থেকে সীমান্ত সৈন্য জড়ো করতে শুরু করে মস্কো যা ক্রমশই ইউক্রেনের হামলার আশংকাকে জোরালো করেছে। সীমান্তের কাছে সৈন্যেদের অবস্থান নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো লুকাসেনকো। লুকাসেনকো জানিয়েছেন, পুতিন যতদিন চাইবেন ততদিন বেলারুশের রুশ সৈন্যরা থাকবে।    

Link copied!