ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন

সহিসংতায় মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, মালদহ, নদিয়ায় নিহত ৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুলাই ৮, ২০২৩, ০১:৫৩ পিএম

সহিসংতায় মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, মালদহ, নদিয়ায় নিহত ৯

সংগৃহীত ছবি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। শনিবার সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সংঘর্ষ ও সহিংসতা।গতকাল শুক্রবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত বিজেপি, তৃণমূলসহ বিভিন্ন দলের ৯ কর্মী নিহত হয়েছে বলে হিন্দুস্থান টাইমসসহ একাধিক সংবাদমাদ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের ২২টি জেলার ৬৩ হাজার ২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন, ৯ হাজার ৭৩০টি পঞ্চায়েত সমিতির আসন এবং ৯২৮টি জেলা পরিষদের মোট ৭৩ হাজার ৮৮৭ আসনে প্রার্থীরা লড়ছেন এ নির্বাচনে। এতে ভোটাধিকায় প্রয়োগ করছেন ৫ কোটি ৬৭ লাখের বেশি ভোটার। আসছে ১১ জুলাই  নির্বাচনের ফলপ্রকাশ করা হবে।

এদিকে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। পুরো রাজ্যে সহিংসতায় শুক্রবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত (দুপুর ১টা) ৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ি, সহিংসতায় আহত হয়েছেন এক হাজারেরও বেশি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হিন্দস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সহিংসতায় নিহতদের মধ্যে তৃনমূল কংগ্রেসের পাঁচ কর্মী-সমর্থক রয়েছেন। এছাড়া, ভারতীয় জনতা পার্টি, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, ভারতীয় কম্যুনিস্ট পার্টির একজন করে মোট তিন হন খুন হয়েছেন। এছাড়া, স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর কর্মীও সহিংসতায় মারা গেছেন।

আনন্দবাজারের  প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার ভোটের দিন সকালে মুর্শিদাবাদে দুই তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তৃণমূল, কংগ্রেস এবং সিপিএমের কর্মীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনায়ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। কোচবিহারের ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটেরহাট ৪/৩৮ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। মালদহের মানিকচকে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। উত্তর দিনাজপুরের চাপড়ায় তৃণমূলের এক কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে।

কোচবিহারের দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুই বিজেপি কর্মী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে চকমরিচায় দুই আইএসএফ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। কোচবিহারের সিতাইয়ে বুথে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। পোড়ানো হয় ব্যালট পেপার। কয়েকটি জেলায় ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই রক্তপাত, সংঘর্ষ, বোমাবাজি, প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। নির্বাচনের দিনও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ি, এবারের সহিংসতা ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ছাড়িয়ে গেছে। তাই নির্বাচন নিয়ে তোপের মুখে পড়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ৩৪ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছিলেন ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। অন্য ৬৬ শতাংশ আসনের সিংহভাগ দখল করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের তৃনমূল কংগ্রেস।

Link copied!