সিরিয়ার সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করতে যৌথ মহড়া শুরু করেছে সিরিয়া ও রাশিয়ার বিমানবাহিনী। বাশার আল-আসাদের সেনাবাহিনীকে স্বনির্ভর করতে গত ২৪ জানুয়ারি থেকে এ যৌথ মহড়া শুরু করেছে।
এ মহড়ায় প্রতিবেশী ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। কারণ এতে রুশ বাহিনী অত্যাধুনিক জিপিএস ব্লক সিস্টেম ব্যবহার করছে।
ফলে মহড়ায় অংশ নেওয়া সিরিয়া ও রাশিয়ার বিমানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ তো দূরের কথা নিজেদের বিমানগুলো পর্যন্ত রাডারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছে না।
গত এক সপ্তাহ ধরে সিরিয়ার বন্দর নগরী জাবলেহর হেমেইমিম বিমানঘাঁটি থেকে রুশ বিমানবাহিনী এবং দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে সিরিয়ার বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমানগুলো ওই যৌথ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।
বিমানগুলো গোলান মালভূমি থেকে ইউফ্রেটিস নদ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ সীমান্ত এলাকার ওপর দিয়ে মহড়ার দেয়। রাশিয়াকে সিরিয়ায় জিপিএস জ্যামার ব্যবহার বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছে ইসরায়েল। তবে, রাশিয়া ইহুদিবাদী দেশটির এ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।
মস্কোর দাবি, সিরিয়ায় অবস্থানরত রুশ সেনাদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে রাশিয়া। অন্যদিকে ইসরায়েলের দাবি— রাশিয়ার এ জ্যামার প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে তাদের রাজধানী তেলআবিবের বেন গুরিয়ান বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক বিমান ওঠানামায় সমস্যা হচ্ছে।
রাশিয়া পাঠানো এক চিঠিতে ইসরাইল জানিয়েছে, সিরিয়ার বন্দরনগরী লাতাকিয়ার পাশে হেমেইমিম বিমানঘাঁটি থেকে রাশিয়া ওই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করে আসছে।
ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল কানে এ নিয়ে গত সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, সিরিয়ার বিমানঘাঁটি থেকে পরিচালিত প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থেকে ছড়িয়ে পড়া ইলেক্টোম্যাগনেটিক তরঙ্গ তেলআবিবের আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে ইসরাইলের বাণিজ্যক বিমানগুলোর জিপিএস ঠিকমতো কাজ করছে না। এগুলো ওঠানামায় মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
কিন্তু রাশিয়া বলেছে, এ অঞ্চলে তাদের সেনাবাহিনীর নিরাপত্তার জন্য এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি। এটা কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, গত সাত বছর ধরেই বাশার বাহিনীকে সুরক্ষা দিয়ে আসছে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী। এ কারণেই সিরিয়ায় বারবার হামলা চালাতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছে ইসরায়েল।
সূত্র: আরব নিউজ