৩৪ অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মুক্ত ট্রাম্প, নিজেকে নির্দোষ দাবি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ৫, ২০২৩, ১১:৫৬ এএম

৩৪ অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মুক্ত ট্রাম্প, নিজেকে নির্দোষ দাবি

পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে অর্থ দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ৩৪টি অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ পরই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তি পেয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মামলায় প্রথমবার ট্রাম্প আদালতে হাজিরা দিতে গেলে সেখানেই আঙুলের ছাপ নেওয়ার প্রক্রিয়ার সময় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পরে মুক্তি পাওয়ার পর আইনগত প্রক্রিয়া সেরে দ্রুত ম্যানহাটন আদালত চত্বর ছাড়েন ট্রাম্প। এ সময় সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলেও কথা না বলেই বেরিয়ে যান তিনি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ধারণা করছে, ফ্লোরিডায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে পারেন ট্রাম্প।

পুরো বিষয় নিয়ে ট্রাম্প হতাশ এবং বিচলিত জানিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাটর্নি টড ব্লাঞ্চ বলেন, ‘এটা ভালো দিন নয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার সাথে এ দেশে এমনটি ঘটবে বলে আশা করি না। আপনিও আশা করেন না। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে যাচ্ছি, কঠোরভাবে লড়াই করব।’

ট্রাম্পের আদালতে হাজিরা দেওয়ার ইস্যুতে নিউইয়র্ক জুড়ে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প গ্রেপ্তার হলে তাঁর অনুসারীরা হিংসাত্মক প্রতিবাদের পথে হাঁটতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। নিউইয়র্কের কয়েকটি রাস্তায় ট্রাম্প সমর্থকরা জমায়েতও করেন। বিপরীতে ট্রাম্পের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছেন তাঁর বিরোধীরাও।

এর আগে, আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য ফ্লোরিডা রাজ্য থেকে ব্যক্তিগত একটি উড়োজাহাজে করে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হন ট্রাম্প। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘নিউইয়র্ক যাচ্ছি। মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন।

আড়াই ঘণ্টা পর তাঁকে বহন করা বিমানটি নিউইয়র্কের লাগার্ডিয়া বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ট্রাম্পের এই যাত্রা যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি মামলার আসামি হলেন। আর এ ঘটনায় ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হবে, নাকি উল্টো শাপে বর হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। 

তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, আইনগত দিক থেকে ট্রাম্পের জন্য এই মামলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না। 

সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় গত বৃহস্পতিবার ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হন ট্রাম্প। ড্যানিয়েলস অভিযোগ তোলেন, ২০০৬ সালে তাঁর সাথে ট্রাম্পের যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ড্যানিয়েলসকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেওয়া হয়েছিল।

তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই মামলাকে ‘রাজনৈতিক নিপীড়ন’ বলে অভিহিত করে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এ ছাড়া ট্রাম্প বলেছিলেন, আইনি জটিলতা থাকলেও ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে পিছু হটবেন না তিনি।

Link copied!