জুলাই ৩১, ২০২৩, ১১:২৮ এএম
স্ত্রীকে হত্যার পর তার মরদেহ কৌশলে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে দিয়েছে এক স্বামী। পরে হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলে লাপাত্তা হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই গৃহবধূর স্বামীর বিরুদ্ধে। পরে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন অভিযুক্ত স্বামী বাহরাইন প্রবাসী সাইফুল ইসলাম।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় জগন্নাথদিঘি ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (৩১ জুলাই) চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত গৃহবধূর নাম জান্নাতুল ফেরদৌস টুম্পা (২৫)। তিনি উপজেলার জগন্নাথদিঘি ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের কাজী শফিকুর রহমানের মেয়ে।
নিহত গৃহবধূর বাবা গত বৃহস্পতিবার সাইফুল ইসলাম বাহারাইন থেকে দেশে আসেন। এ সময় টুম্পা আমাদের বাড়িতে ছিল। শনিবার দুপুরে আমাদের বাড়িতে খাবার খেয়ে টুম্পাসহ সাইফুল নিজ বাড়িতে চলে যায়। পরে একই দিন সন্ধ্যার কিছু সময় আগে সাইফুল একটি অটোরিকশাযোগে টুম্পাকে আবার আমাদের বাড়ি নিয়ে আসে। এ সময় সাইফুল জানান, ‘টুম্পা অচেতন হয়ে গেছে। তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। আপনারা আমার সঙ্গে আসেন।’ পরে টুম্পাকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা কাজী শফিকুর রহমান আরও জানান, সাইফুল আমার মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় নেবে বলে কৌশলে অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে ঘরে মরদেহ রেখে পালিয়ে যান। সাইফুল তার বাড়িতে নিয়ে টুম্পাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর এ নাটক সাজিয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডা. মো. সোলেমান বাদশা জনান, টুম্পাকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের কালো চিহ্ন আছে। টুম্পাকে মৃত ঘোষণা করলেও তার স্বামী সাইফুল অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। এ সময় উন্নত চিকিৎসার কথা বলে মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যান।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা গণমাধ্যমকে জানান, সংবাদ পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত সাইফুলকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।