শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় খালাস ও ৬ মাসের দণ্ড বাতিল চেয়ে আপিল করেছেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার সকালে শ্রম অ্যাপিলিয়েট ট্রাইব্যুনালে নিজে উপস্থিত হয়ে আপিল করেন তিনি।
এর আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, রায়ে সাজা হলেও জেলে যেতে হয়নি ইউনূসসহ চারজনকে। আপিলের শর্তে তাঁদের একমাসের জামিন দিয়েছিলেন বিচারক। আগামী ৩১ জানুয়ারি জামিনের শেষদিন।
১ জানুয়ারি রায়ে জামিনের শর্তে বলা হয়েছিল, ৩০ দিনের মধ্যে শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারবেন আদালত। শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা শ্রম আইনের লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে পারেন। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাঁদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।
মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও আসামি করা হয়েছে গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে।