বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কামাল জামান মোল্লা ৪ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩, ০২:১৮ পিএম

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কামাল জামান মোল্লা ৪ দিনের রিমান্ডে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশান থানার বাস পোড়ানোর মামলায় বিএনপি নেতা ও অভিজাত ফ্যাশন হাউস ভাসাবি ফ্যাশনের মালিক কামাল জামান মোল্লাকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। 

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) তাকে এ মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. রিপন উদ্দিন।

দুপুরের পর জামানকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মো. রিপন উদ্দিন দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অন্যদিকে রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। 

শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে চার দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জামান মোল্লার আইনজীবী এম এ গফফার চৌধুরী রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে তাকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গত ১ নভেম্বর বিএনপির ডাকা অবরোধের মধ্যে গুলশানে বৈশাখী পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পরদিন ২ নভেম্বর গুলশান থানায় একটি মামলা করে গুলশান থানার এসআই রায়হানুল ইসলাম সৈকত। এছাড়াও এই মামলায় আসামি করা হয় ঢাকা হোটেল ও রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী মো. শাহজাহানসহ ৩৪ জনকে। এই মামলায় জামানকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

রিমান্ড আবেদনের তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির অগ্নিসংযোগ, জালাও পোড়াও এর মতো কর্মসূচি সফল করে তুলতে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগানদাতা জামান। তার ইন্ধনে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন বলে তদন্তে জানা গেছে। মামলায় বর্ণিত ঘটনার সাথে অন্য কারা জড়িত এসব তথ্য উদ্‌ঘাটনের জন্য জামানকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট-ভাষানটেক) আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য মরহুম আ স ম হান্নান শাহ। তার মৃত্যুর পর এই আসনে বিএনপির পক্ষে নানাভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে শুরু করেন কামাল জামান মোল্লা। 

এছাড়া দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সহযোগিতাও করেন তিনি। সমাজের অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত গুলশান বনানী এলাকার বিভিন্ন স্তরে রয়েছে তার যোগাযোগ।

 

Link copied!