আগস্ট ১৮, ২০২৪, ০৪:৩৮ পিএম
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের প্রায় ১ মাস পর আদালতে সাবেক আইজিপিহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন তার ভাই বড় ভাই রমজান আলী।
রোববার (১৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাজহাট মেট্রোপলিটন আমলি আদালতে এই আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক রাজু আহমেদ তাজহাট থানাকে মামলা হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী রমজান আলী নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, “বিভিন্ন কারণে মামলা করতে দেরি হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।”
মামলার আবেদনে পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুর ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান, উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুজ্জামান, সহকারী পুলিশ কমিশনার ইমরান হোসেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, পুলিশের এএসআই সৈয়দ আমীর আলী, সুজন চন্দ্র রায়কে আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামিম মাহফুজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদ মণ্ডল, গণিত বিভাগের শিক্ষক মশিউর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান রাসেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতিভূষণ, বেরোবি ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেনসহ অজ্ঞাত আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আইনজীবী রায়হানুজ্জামান বলেন, “আমরা ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলার আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে তাজহাট থানাকে মামলা হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন।”
গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। এ ঘটনায় ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতিভূষণ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় আসামি করা হয়েছিল আন্দোলনকারীদের।
নিহত আবু সাঈদের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে। রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়টির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন তিনি।