জানুয়ারি ১৩, ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলার বিচার কেরানীগঞ্জ কারাগার সংলগ্ন অস্থায়ী আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
রবিবার, ১২ জানুয়ারি রাতে সরকারের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত আদেশ জারি করে বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশ করা হয়।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের স্বাক্ষরিত এই আদেশে বলা হয়েছে, “সরকার Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর section 9 এর sub-section (2) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ঢাকার পিলখানাস্থ বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত বিডিআর হত্যাকান্ডের সহিত জড়িতদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার নিউ মার্কেট থানার মামলা নং-০৯, তারিখ: ০৬-০৪-২০০৯ খ্রি. (লালবাগ থানার মামলা নং- ৬৫, তারিখ: ২৮-০২-২০০৯ খ্রি.), ধারা-Explosive Substances Act, 1908 (Act No. VI of 1908)-এর 3/4/6 (অভিযোগপত্র নং ১২৭(১), তারিখ: ১২-০৭-২০১০ খ্রি.), জি, আর নং- ১১০/০৯, মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল জজ আদালত, ঢাকা এর মেট্রো বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মামলা নং-৭৭৭/২০১০ এর বিচারকার্য পরিচালনার নিমিত্ত ২৮ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখের এস, আর, ও নং-৪০৩-আইন/২০১০ মূলে ঘোষিত ঢাকা মহানগরের বকশী বাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে অবস্থিত অস্থায়ী আদালত ভবন এর স্থলে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন অস্থায়ী আদালত ভবনকে অস্থায়ী আদালত ঘোষণা করিল এবং এতদ্দ্বারা এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করিল যে, উক্ত মামলার বিচারকার্য ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন অস্থায়ী আদালত ভবনে অনুষ্ঠিত হইবে।”
এর আগে এই মামলার বিচার রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশী বাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের অস্থায়ী আদালতে হতো। ২০১০ সালের ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এ মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ জানুয়ারি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা নিজেদের খেলার মাঠ ফিরে পাওয়ার জন্য আন্দোলন করছিল।
গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা মাঠের অস্থায়ী আদালতে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম হবে এমন খবরে সেখানে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়।
ভোর রাতেই পুড়িয়ে দেয়া হয় অস্থায়ী আদালতের এজলাস। পরে সেদিন আর ওই আদালতে বিচার কাজ হতে পারে নি।
ওই দিন বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের স্বজনরা ন্যায়বিচার নিশ্চিত, কারামুক্তি, চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করে।
পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুইটি মামলা হয়। এর মধ্যে বিস্ফোরক মামলাটির নিম্ন আদালতের বিচার এখনো শেষ হয়নি।