নোয়াখালী সদর উপজেলায় মাইজদীতে স্ত্রীর গলা কেটে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ভোরে শহরের মাইজদীর বসুন্ধরা কলোনীতে (বার্লিন টন মোড়) এই ঘটনা ঘটে।
নিহত স্বামী মেহেদী হাসান শুভ (২০) উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের দুলাল মিয়ার ছেলে ও স্ত্রী তামান্না ইসলাম প্রিয়া (১৬) পৌর এলাকার লিটনের মেয়ে। স্বামী-স্ত্রীর ছাড়াও সম্পর্কে তারা খালাতো ভাই-বোন ছিলেন।
জানা যায়, তারা প্রেম করে ছয় মাস আগে বিয়ে করেন। বিয়ের পর মাইজদীর বসুন্ধরা কলোনীতে শাশুড়ির বাসায় থাকতেন শুভ। নিহত শুভ বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি স্বরূপ ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল এবং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) তামান্নার ৪ বছরের ছোট ভাই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়, সেখানে রাতে তামান্নার অপর এক ভাই, বাবা-মা অবস্থান করেছিল। বাসায় সেসময় শুভ ও তার স্ত্রী ছিল। আজ সকালে তামান্নার ভাই হোসেন আহমেদ নোমান হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে দরজায় কড়া নেড়ে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পাশ্ববর্তী বাসায় খবর দেয়। তখন পাশের বাসা থেকে জানালা দিয়ে শুভর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় তারা।
পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেন তামান্নার ভাই। খবর পেয়ে সুধারাম মডেল থানার পুলিশ তাদের দুজনের লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনার রহস্য উদঘাটনে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ, সিআইডির ডিপি পিবি আইসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার টিম সেখানে কাজ করছেন।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, নিহত প্রিয়ার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে বলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।