স্পোর্টস প্রোগ্রাম, প্রোমোশন ও কালচারাল শোয়ের মাধ্যমে এখন অনলাইন জুয়া সংঘটিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে শিক্ষিত ও উচ্চবিত্ত সমাজ অজান্তেই গর্হিত এসব কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন বলে উল্লেখ করেছেন ট্রেনিং ও গবেষণা বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. সরফরাজ আলী।
রোববার (২ জুন) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত আর্কাইভ নীতিমালার মোড়ক উন্মোচন ও ‘চ্যালেঞ্জেস অব কন্ট্রোলিং ইলিগ্যাল মানি ট্রান্সফার অ্যান্ড অনলাইন গ্যাম্বলিং’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।
সরফরাজ আলী বলেন, “গবেষণায় অংশ নেওয়া ৮৩ শতাংশ মনে করছেন, অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে এখন মানি ট্রান্সফার হচ্ছে। এছাড়া ৭৬ শতাংশ মনে করছে হোয়াটসকলার ক্রিমিনালের মাধ্যমে স্পোর্টস প্রোগ্রাম, প্রোমোশন ও কালচারাল শোগুলোতে আজকাল অনলাইন জুয়া সংঘটিত হচ্ছে। এছাড়া অংশ নেওয়া ৯১ শতাংশই মনে করছে মানুষ সচেতন না থাকায় মনের অজান্তেই আজকাল অনলাইন জুয়ায় জড়িয়ে পড়ছে তারা।”
এছাড়া গবেষণা বা বিদ্যায়তনিক প্রয়োজনে এখন থেকে যে কেউ চাইলেই সিআইডি আর্কাইভ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে বলে জানান সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ৮ ও পরে ১৫ সদস্যের একটি কমিটির মাধ্যমে ১ বছরের গবেষণার পর আর্কাইভ নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।
সিআইডি প্রধান বলেন, “এখন ডিজিটাল যুগে সংঘটিত অপরাধগুলো খুবই স্পর্শকাতর। একজন আরেকজনের সঙ্গে সামান্য মনোমালিন্য হলে ফেসবুকে ব্ল্যাকমেইল শুরু করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ব্ল্যাকমেইলিং থেকে শুরু করে সব ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়।”
মাদক নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, “আমরা মাদক নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। এর আগে মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি।এছাড়া সিআইডিতে একটি মানব প্রাচার সেল আছে যা ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বিমান বন্দরেও একটি ব্রাঞ্চ আছে। যারা মানবপাচার করে, ভুয়া টিকিট বা ভিসা দিয়ে থাকে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসি।”
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার শ্রমিকদের ভিসা জটিলতা ও ভোগান্তির ব্যাপারে তিনি বলেন, “ভুক্তভোগী কোনো শ্রমিক বা কেউ যদি এই ব্যাপারে মামলা করে তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ আলী বলেন, “রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রায় শেষপর্যায়ে চলে এসেছে দুই-এক মাসের মধ্যেই তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।”