ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩, ০২:১৩ পিএম
‘উইমেন্স ওয়ার্ল্ড’ নামের বিউটি পার্লারের ধানমন্ডি শাখায় গোপনে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন ও স্পর্শকাতর ভিডিও ধারণ-সংরক্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার তিন ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী এক নারীর মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর ধানমন্ডির সাত-মসজিদ রোডে অবস্থিত পার্লারটিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ধানমন্ডি মডেল থানায় পুলিশের করা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেফতার তিনজনকে গতকালই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার তিন ব্যক্তি হলেন পার্লারের মহাব্যবস্থাপক তসলিম আরিফ ওরফে ইলিয়াস (৫২), প্রশাসনিক ব্যবস্থাপক ইমাদুল হাসান (৫৩) ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থাপক এম এইচ জুয়েল খন্দকার (৩৩)।
আরও পড়ুন: উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের গোপন কক্ষে সিসি ক্যামেরা, ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মামলার অপর দুই আসামি পার্লারের মালিক তাসলিমা চৌধুরী কনা আলম (৫৭) ও ব্রাঞ্চ মালিক ফারনাজ আলম (৩২)। তাঁরা পলাতক।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) পুলিশের ধানমন্ডি অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. আবু তালেব এক প্রতিবেদনে বলেন, গ্রেফতার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ধানমন্ডির এই পারলারে সেবা নেওয়া অনেক নারীর ভিডিও গোপন ক্যামেরার ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডারে (ডিভিআর) পাওয়া গেছে। বেআইনি পন্থায় এসব ভিডিও ধারণ, সংরক্ষণ করা হয়েছে।
গ্রেফতার তিনজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, তাঁরা ছয় মাস আগে পার্লারে সিসিটিভি ক্যামেরা বসান। কোনো ভিডিও ফুটেজের অপব্যবহার হয়েছে কি না, তা জানতে পুলিশি তদন্ত চলছে।
মামলাটির বাদী ধানমন্ডি আদর্শ পুলিশ ফাঁড়ির (ধানমন্ডি মডেল থানাভুক্ত) উপপরিদর্শক (এসআই) একরামুল হক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযানকালে পারলারটি থেকে গোপন ভিডিও ধারণ-সংরক্ষণের আলামত জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক আসামিদের সাথে পরস্পর যোগসাজশে পার্লারের সেবা নিতে আসা নারীদের আপত্তিকর-স্পর্শকাতর ভিডিও অসৎ উদ্দেশ্যে ধারণ-সংরক্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক মো. শাহজাহান বলেন, পার্লারটির বিষয়ে ভুক্তভোগী এক নারী মৌখিক অভিযোগ করেছিলেন। তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। পরে পুলিশ পার্লারটিতে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পায়। এ কারণে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।