আগস্ট ২০, ২০২৩, ০৮:১৪ পিএম
গ্রেফতার ছাত্রদলের ছয় নেতা রাজধানীতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে ও জনমনে আতঙ্ক ছড়াতে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন বলে দাবি করেছেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) খোন্দকার নুরুন্নবী।
রবিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন তিনি।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম ওরফে জিসান (৩১), বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ (৩০), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. হাসানুর রহমান হাসান (৩২), ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহাদত হোসেন (৩১), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর (৩২) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আর রিয়াদ (২১)।
সংবাদ সম্মেলনে খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম বিশেষ অভিযান চালিয়ে লালবাগ থানাধীন বাসা নং- ৩৮/১/এ এর ৩য় তলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গতকাল তিনটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৬ রাউন্ড গুলিসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারের পর মমিনুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আরিফ বিল্লাহের দেহ তল্লাশি করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে এক রাউন্ড গুলিভর্তি অবস্থায় একটি লোহার তৈরি কাঠের বাটযুক্ত পিস্তল, তাদের কাঁধে থাকা ব্যাগের ভেতর আট রাউন্ড গুলিভর্তি অবস্থায় একটি লোহার তৈরি কাঠের বাটযুক্ত টপ ব্রেক রিভলবার, একটি কালো রংয়ের প্লাস্টিকের বক্সের ভেতরে ১৯ রাউন্ড গুলি, আট রাউন্ড গুলিভর্তি অবস্থায় একটি লোহার তৈরি কাঠের বাটযুক্ত টপ ব্রেক রিভলবার উদ্ধার করা হয়।
খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে আমরা কয়েকটি মোবাইল জব্দ করেছি। তাদের মোবাইলেও বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়ার উদ্ধারকৃত অস্ত্রের ছবিও মোবাইলে পাওয়া গেছে। অস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি অস্ত্র টেকনাফ থেকে সংগ্রহ করেন তারা। আরেকটি অস্ত্র পাবনা থেকে সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন। যাদের কাছে থেকে তারা অস্ত্র সংগ্রহ করেছেন তাদের নাম-ঠিকানাও আমরা পেয়েছি। তাদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তারা আগামী নির্বাচনে সন্ত্রাস ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে এই অস্ত্র সংগ্রহ করেন। তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। এতে আরও অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হবে।