মার্চ ৫, ২০২৪, ০৯:৫৪ এএম
আগুন নেভানোর যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় এস আলম গ্রুপের অংশীভূত চিনির গুদামের পুরো অংশেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এই আগুন এতই ছড়িয়ে পড়েছে যে ২০ ঘণ্টায়ও তা নেভানো সম্ভব হয়নি। সেখানে এখন ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ করছে। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে ফায়ার সার্ভিস বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে গুদামটিতে আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এলেও ওপর থেকে পানি ছিটানোর সুযোগ পায়নি। চারদিক থেকে বদ্ধ থাকা গুদামে উত্তপ্ত টিনের ছাদ কেটে ভেতরে ঢোকারও সুযোগ ছিল না। অল্প কিছু ফায়ার এক্সটিংগুইসার থাকলেও সেগুলো ব্যবহার করা যায়নি।’
প্রায় ১০ হাজার বর্গফুটের এই গুদাম পাঁচতলা ভবনের সমান উঁচু। গতকাল সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে এই গুদামের ছাদের দিকেই প্রথম আগুন দেখা যায়। পরে তা পুরো গুদামেই ছড়িয়ে পড়ে।
সাফাই গাইছে এস আলম গ্রুপ
আগুন লাগার শুরু থেকে নেভানোর ব্যবস্থা নিয়ে সাফাই গেয়ে চলেছেন প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষ। এস আলম গ্রুপের দাবি, তাদের এই গুদামে প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। যার পুরোটুকু নষ্ট হয়ে গেছে। গ্রুপটির প্রধান ভূমি কর্মকর্তা মোস্তাইন বিল্লাহ আদিল বলেন, ‘আমাদের গুদামে যথাযথ ব্যবস্থাই ছিল। কিন্তু আগুন ওপরের দিকে লেগে যাওয়ায় সেটি তাৎক্ষণিকভাবে নেভানো কঠিন ছিল।’
আগুন লাগার কারণ হিসেবে গ্রুপটির মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হোসেন ধারণা করছেন, ‘প্রাথমিকভাবে কনভেয়ার বেল্টের ঘর্ষণজনিত তাপ কিংবা বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে।’