১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশে রাজাকার বাহিনী বাদে সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণার দাবি জানিয়ে রিট করা হয়েছে হাইকোর্টে। এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট)।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।
রিটে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে এবং পাকিস্তানের পক্ষে সহায়তাকারী রাজাকার বাহিনী ছাড়া সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করে নতুনভাবে সবার নামসহ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রস্তুত করার জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়। এতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, “সংবিধানে বলা হয়েছে, ‘আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা, যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করছি যে, আমরা যাতে স্বাধীন সত্তায় সমৃদ্ধি লাভ করতে পারি এবং মানবজাতির প্রগতিশীল আশা-আকাঙ্ক্ষার সহিত সঙ্গতি লক্ষ্য করতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা পালন করিতে পারি, সেইজন্য বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিস্বরূপ এই সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুণ্ণ রাখা এবং ইহার রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধান আমাদের পবিত্র কর্তব্য।”
ইউনুছ আলী আকন্দ আরও বলেন, “এখানে ‘আমরা’ শব্দটি চারবার ব্যবহার করা হয়েছে। সুতরাং রাজাকার বাদে তখনকার সব নাগরিকই মুক্তিযোদ্ধা ছিল মর্মে ঘোষণা আবশ্যক ও নির্দেশনা প্রয়োজন।”