অর্থ পাচার: জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলার রায় পিছিয়ে ১৭ জুলাই

আদালত প্রতিবেদক

জুন ২৫, ২০২৩, ০৮:৪০ পিএম

অর্থ পাচার: জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলার রায় পিছিয়ে ১৭ জুলাই

সংগৃহীত ফাইল ছবি

ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার এসএম গোলাম কিবরিয়া ওরফে জি কে শামীমসহ ৮জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলার রায় ঘোষণার নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। আসছে ১৭ জুলাই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

রবিবার (২৫ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম রায় ঘোষণার নতুন এই তারিখ নির্ধারণ করেন। এর আগে, উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর গত ১৫ জন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২৫ জুন তারিখ ধার্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, রবিবার মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য থাকলেও বিচারক আরও একবার যুক্তিতর্ক শুনতে চাওয়ায় রায়ের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানকালে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জি কে শামীমকে তার রাজধানীর নিকেতনের বাসা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের(র‌্যাব) একটি টিম। এসনময় তার অফিস থেকে নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেক বই, আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধার করা হয়।

পরে রাজধানীর গুলশান থানায়  মানি লন্ডারিং আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, শামীম তাঁর দেহরক্ষীদের সহযোগিতায় টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় টার্মিনাল, গরুর হাটবাজারে চাঁদাবাজি করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন। বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশেও পাচার করেছেন। 

প্রসঙ্গত, শামীমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মোট তিনটি মামলার মধ্যে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনে মামলায় সাত দেহরক্ষী ও তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। অন্য দুটি মামলা  বিচারাধীন রয়েছে।

Link copied!