“বিএনপি করার জন্য নয়, গ্রেফতার হয়েছে হামলার কারণে”

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ১, ২০২৩, ০৬:১৮ পিএম

“বিএনপি করার জন্য নয়, গ্রেফতার হয়েছে হামলার কারণে”

ছবি: ডিএমপি

গত ২০ নভেম্বর বিকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডিএমপির কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটি তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ককটেল হামলার সাথে জড়িত অভিযুক্তদের অবস্থান সনাক্ত করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এরপর ২৬ নভেম্বর শ্যামপুর থানার গ্লাস ফ্যাক্টরির গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাফসা আক্তার পুতুলকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তার হেফাজত থেকে ককটেল হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও একটি ভ্যানিটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ককটেল বিস্ফোরণের সময় ধারণকৃত ছবি ও ভিডিও ফুটেজেও এই মোটরসাইকেল ও ভ্যানিটি ব্যাগ দেখা গেছে বলে দাবি করেছে ডিএমপি।

হাফসা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গত ২০ নভেম্বর অন্য একটি মামলায় তার দেবর আঃ রহমানকে কোর্টে আনবে এমন তথ্য পেয়ে পুতুল তার স্বামী আব্দুল হামিদ ভূইয়া ও তাদের ছোট মেয়েসহ মোটারসাইকেলে করে বাসা থেকে কোর্টের উদেশ্যে রওয়ানা দেয়।

পুলিশের ভাষ্যমতে, তারা প্রথমে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তাদের মোটরসাইকেলটি রাখে। তারা সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানকালে আব্দুল হামিদ তার স্ত্রী পুতুলের কাছে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগে একটি ককটেল রাখতে দেয়।

পরে তারা আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ৪র্থ তলায় উঠে। সেখানে আব্দুল হামিদ তার স্ত্রী পুতুলের ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা ককটেলটি বের করে আদালত প্রাঙ্গণে ছুড়ে মারে। যার ফলে ককটেলটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। ঘটনার পর তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার পুলিশ রিমান্ড শেষে হাফসা আক্তার পুতুলকে আদালতে প্রেরণ করলে আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার হাফসা আক্তার পুতুল ও তার স্বামী আব্দুল হামিদ ভূইয়া সম্পর্কে ২৯ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘বাবা ঘরে আসুক, কারাগার থেকে ফিরুক মা’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তা সঠিক নয়।

ডিএমপি আরও বলেছে, ওয়ারী থানা যুবদল নেতা হামিদ ও তার স্ত্রী হাফসা আক্তার পুতুল আদালত প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামী। বিএনপির পক্ষে আন্দোলন করার জন্য নয়, বরং এই হামলা মামলার আসামী হিসেবেই হাফসা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

 

Link copied!