ফুলের রানি গোলাপের সৌন্দর্যের আভিজাত্য ও সুঘ্রাণে মাতোয়ারা হয় না কে! এই গোলাপ কিন্তু রূপের পাশাপাশি গুণেও অনন্য। গোলাপ পেলে কেউ যেমন খুশি হয় তেমনি শরীরের যত্নে গোলাপ বেশ কার্যকরী। গোলাপের পাঁপড়ি দিয়ে বানানো জল আপনার শরীরের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন নানা পদ্ধতিতে।
মেকআপ তুলতে ব্যবহার
সামান্য গোলাপজল আর জলপাই কিংবা নারকেল তেল মিশিয়ে মুখে মালিশ করুন। তুলা বা নরম সুতি কাপড় দিয়ে এবার মুখ মুছে নিন। মুখের মেকআপের পাশাপাশি সব ধরনের ময়লাও পরিষ্কার হয়ে যাবে।
টোনার হিসেবে ব্যবহার
গোলাপজল খুব ভালো প্রাকৃতিক টোনার। ভালোভাবে মুখের ত্বক পরিষ্কার করে নিন। এবার তুলার বলে সামান্য গোলাপজল নিয়ে পুরো মুখে লাগান।
ফেসপ্যাকে ব্যবহার
মুলতানি মাটি, চন্দন, যষ্টিমধু আর পরিমাণমতো গোলাপজল মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে পারেন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করুন। এ ছাড়া ফেসপ্যাকের জন্য ব্যবহৃত যেকোনো উপকরণের গুঁড়ার সাথে গোলাপজল ব্যবহার করা যায়।
বডি মাস্ক বানাতে ব্যবহার
শরীরের দুর্গন্ধ কমাতে গোলাপ জল বেশ উপকারী। গোলাপ জল ও চন্দন কাঠের গুঁড়ো দিয়ে মাস্ক তৈরি করে লাগালে দুর্গন্ধ দূর হয়।
ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে ব্যবহার
গোলাপের পাপড়ি রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে পানি ছেঁকে নিয়ে নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। গোসলের আগে বা পরে ত্বকে গোলাপের এই তেল মাখলে ত্বকের জেল্লা অনেকটাই বাড়বে।
চুলের কন্ডিশনার হিসেবে
চুলে কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন গোলাপ জল। এটি মাথার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করবে। এছাড়াও চুলের খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।
ঘরে বসেই বানাতে পারেন গোলাপ জল-
এক কাপ গোলাপের পাঁপড়ি নিন। ২ কাপ পানি সেদ্ধ করুন এবং ঐ গরম পানি পাঁপড়িসহ একটি কাঁচের পাত্রে ঢেলে নিন। ঢাকনা দিয়ে ৩০ মিনিট ঢেকে রাখুন। এরপর পানিটি ছেঁকে নিয়ে বোতলে ভরে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করুন।
এভাবে প্রিজারভেটিভবিহীন গোলাপজল বানালে সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ ব্যবহার করতে পারবেন।