শুরু হয়ে গেছে পবিত্র রমজান মাস। একদিকে প্রচন্ড গরম এবং আরেকদিকে করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতন থাকা উচিৎ। সারাদিন রোজা রেখে দিন শেষে ক্লান্তি চলে আসে। এছাড়াও যেহেতু রোজায় অন্যান্য দিনের তুলনায় আলাদা খাবার খাওয়া হয়, সেহেতু অনেকেরই শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে স্বাস্থের বিষয়টি বিবেচনা করলে ইফতারে লেবুর শরবতের ভুমিকা অপরিসীম। লেবুর শরবতের উপকারিতা রয়েছে অনেক। লেবুর শরবতে যেসব উপকারিতা রয়েছে :
* হজম শক্তি বাড়ায়:
লেবুর রস শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। বদহজম, বুক জ্বালার সমস্যাও সমাধান করে লেবু পানি। লেবুর রস হজমসংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের বিরুদ্ধে লড়তে উপকারী। ইফতারে এক গ্লাস লেবুর শরবত রাখতে ভুলবেন না। অন্যান্য খাবারের পাতেও কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে দিন। রোজার দিন সাধারণত খাদ্য গ্রহণে সময়ের পরিবর্তন ও পানির অভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। অন্যান্য পানীয় ও খাবারের সঙ্গে লেবুর রসের ব্যবহার আপনাকে এই অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
লেবুর মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করতে অব্যর্থ। স্নায়ু ও মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়। ফুসফুস পরিষ্কার করে হাঁপানি সমস্যার উপশম করে।
* ত্বক দাগ মুক্ত রাখে:
লেবুতে থাকা ভিটামিন সি ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। ব্যাকটেরিয়া রুখে অ্যাকনে সমস্যার সমাধান করে। রক্ত পরিষ্কার রেখে ত্বকের দাগ ছোপ দূরে রাখে। লেবু খেলে শরীরে পজিটিভ এনার্জি বাড়ে। উত্কণ্ঠা ও অবসাদ দূরে রেখে মুড ভাল রাখতে সাহায্য করে লেবু।
* পিএইচ ব্যালান্স:
লেবু শরীরের পিএইচ ব্যালান্স সঠিক রাখতে সাহায্য করে। লেবুর মধ্যে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড মেটাবলিজমের পর ক্ষার হিসেবে কাজ করে। ফলে রক্তের পিএইচ ব্যালান্স বজায় থাকে। লেবু ফুসফুস পরিষ্কার রাখার ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস তাজা রাখে। খাওয়ার পর লেবু পানি দিয়ে মুখ ধুলে ব্যাকটেরিয়া দূর হয়।
* ওজন কমায়:
লেবুতে থাকা পেকটিন ফাইবার খিদে কমাতে সাহায্য করে। সকালে উঠে লেবু দিয়ে গরম পানি খান। সারাদিন কোন খাবার খাবেন, কোনটা খাবেন না তা বেছে নিতে সাহায্য করে লেবু পানি। বলা হয়, হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরের বাড়তি মেদ ঝরতে থাকে। বহু পুরনো আমল থেকেই ওজন কমাতে লেবুর রস রীতিমতো পথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।