বেটা
ছবি: সংগৃহীত
পদ্মার শাখা নদীতে গোসলে নেমে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে বাবা-ছেলেসহ নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
ওই দুজন নিহতের পরিচয়- বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রিয়াদ আহমেদ রাজু (৪৫) ও একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা জুয়েল রানা (৪০)।
এর মধ্যে রিয়াদ আহমেদ রাজু রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সলিমুল্লাহ রোড এলাকার হারুনুর রশিদ মোল্লার ছেলে। আরেকজন একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা জুয়েল রানা। তারা দুজন সম্পর্কে একে অপরের ভায়রা ভাই। রাত সাড়ে আটটার দিকে তাদের দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে নিখোঁজ রিয়াদ রামিন আরিদ প্রকৌশলী রিয়াদ আহমেদের ছেলে। সে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র। তাকে খুঁজতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশ।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেল চারটার দিকে উপজেলার দিঘীরপাড় বাজার সংলগ্ন পদ্মার শাখা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, ঈদের ছুটিতে তারা রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে উপজেলার বেশনাল গ্রামে তার চাচা ইকবাল মোল্লার বাড়িতে বেড়াতে আসে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়নের ধানকোড়া এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে প্রায় ৩০-৩৫ জন মিলে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার যোগে পদ্মা নদীতে ঘুরতে বের হলে বেশ কয়েকজন গোসলে নামে। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় অনেকেই তীরে আসতে পারলেও নিখোঁজ তিনজন নদীতে ভেসে যান।
নিখোঁজ রাজুর বোনাই মিথুন বলেন, ‘আমরা এই এলাকায় ঘুরতে এসে নদীতে গোসল করতে নামলে হঠাৎ তারা নদীর পানিতে বালির গর্তে পরে পানির স্রোতে নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাদের না পেয়ে পরে ফায়ার সার্ভিস খবর দেই। নিখোঁজদের উদ্ধারে মুন্সীগঞ্জ সদর ও টঙ্গিবাড়ি উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চেষ্টা চালাচ্ছে।’
টঙ্গিবাড়ি ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মোস্তফা কামাল বলেন, ‘খবর পেয়ে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। ঢাকা থেকে ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে। আমরা অভিযান চালিয়ে এর মধ্যেই দুটি লাশ উদ্ধার করেছি।’
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার চর আব্দুল্লাহ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল হাসনাত বলেন, ‘ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশের টিম রয়েছে। উদ্ধার কাজ চলছে।’
