রাজধানীতে পোষা কুকুর হত্যার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ৭, ২০২৩, ১২:৪০ এএম

রাজধানীতে পোষা কুকুর হত্যার অভিযোগ

রাজধানীর আফতাবনগর এলাকায় এই কুকুরটিতে মাটিচাপা দেওয়া হয়।

রাজধানীর আফতাবনগরে লোহার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পোষা কুকুরকে বেআইনিভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আফতাবনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এক মালিক। 

সাধারণ ডায়রিতে অভিযোগকারী রোমানা আফরোজ বলেন,আফতাব নগরের লোহার ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তায় থাকা ১০ টি কুকুরকে নিয়মিতভাবে দেখাশোনা ও  চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। তবে আফতাবনগর সোসাইটির সিকিউরিটি গার্ড ও আনসার সদস্যদের কথা কাটাকাটি হত। এমনকি তারা কুকুর পেটানোর প্রতিবাদ করলে হুমকি দিত। সেই সাথে আমাকে এবং আমার পোষা কুকুরগুলোকে ক্ষতি সাধনের হুমকি দেয়।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে খাবার দেয়ার সময় একটি কুকুর নিখোঁজ থাকায় সিকিউরিটি গার্ড ও আনসার সদস্যদের জিজ্ঞাসা করি। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে জানায় রাত ১১ টা ১০ এ ট্রাক চাপায় কুকুরের মৃত্যু হয়। পরে প্রায় ৫ মাইল দূরে কুকুরের মরদেহ পাওয়া যায়। যেখানে আঘাতের চিহ্ন ছিল না।

কুকুরের মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশ আলামত সংগ্রহ করেছে বলে জানায় বাড্ডা জোনের এসি রাজন কুমার সাহা। তিনি বলেন, আমরা সেখানে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছি। যদি কেউ অপরাধী হয় তাহলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

এদিকে আফতাবনগর সোসাইটির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।

কুকুরগুলোর আরেকজন মালিক উৎস দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে জানায়, ট্রাক চাপায় কুকুরটি আসলেই মারা গেছে কিনা সেগুলো সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করলেই বুঝতে পারব। তবে বিনা কারনে এই ধরনের হত্যাকাণ্ড যে করেছে তাকে প্রচলিত আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

উল্লেখ্য ‘দ্য ক্রুয়েলটি টু অ্যানিমেলস অ্যাক্ট ১৯২০’ বাতিল করে ২০১৯ সালে প্রাণিকল্যাণ আইন প্রণয়ন করে সরকার। আইনে বলা আছে, কোনো ব্যক্তি যদি প্রাণীকে ওষুধ অথবা বিষ মেশানো খাবার খাওয়ান বা বিষ প্রাণীর দেহে প্রয়োগ করেন, এ ধরনের কাজ করার চেষ্টা করেন বা করতে সহায়তা করেন এবং এতে প্রাণীর মৃত্যু বা স্থায়ী অঙ্গহানি অথবা স্বাভাবিক আকার ও কর্মক্ষমতা নষ্ট হয়, তাহলে সেটা অপরাধ বলে গণ্য হবে।

আইনে সাজা হিসেবে অনধিক ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার কথা বলা আছে। সর্বোচ্চ সাজা অনধিক দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান আছে। এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ অ-আমলযোগ্য ও জামিনযোগ্য। উল্লেখ্য, অ-আমলযোগ্য অপরাধ বলতে সেসব অপরাধকে বোঝায়, যা সংঘটিত হওয়ার পর আদালতের অনুমতি নিয়ে তদন্ত করতে হয়। বিনা পরোয়ানায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় না।

Link copied!