এপিবিএন নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন তথ্যভিত্তিক নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২০, ২০২৩, ০৪:৪৪ এএম

এপিবিএন নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন তথ্যভিত্তিক নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সম্পর্কে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) দেওয়া প্রতিবেদন তথ্যভিত্তিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলা একাডেমিতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলোয় মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। তাদের নিরাপত্তায় আশ্রয়শিবিরে রয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা এপিবিএনের ক্যাম্প। গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) অভিযোগ করেছে, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা রোহিঙ্গাদের থেকে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছেন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প কোনো একসময় আমাদের জন্য একটা বিষফোড়ার মতো হবে। কারণ, এই রোহিঙ্গারা তাদের সবকিছু ফেলে এখানে এসেছে। প্রলোভনে পড়ে তারা যেকোনো চ্যালেঞ্জ নিতে পারে। রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের ভেতরে ইয়াবার ব্যবসা করে, নিজেরা নিজেরা গোলাগুলি-মারামারি করছে। গতকালও তমব্রু সীমান্তে তাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে, বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল বলেন, পঁচাত্তরে আমরা একটি হোঁচট খেয়েছি। হোঁচট খেয়ে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের গায়ে চিমটি কেটে দেখতাম বেঁচে আছি, নাকি মরে গেছি। আমরা রাজাকার-আল বদরের গাড়িতে পতাকা দেখেছি, এটাও আমাদের সহ্য করতে হয়েছে। আমরা এটাও দেখেছি ইনডেমনিটি বিলের মাধ্যমে বিচার কাজ বন্ধ করে দেওয়া।

“সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এলেন এবং এদেশ ঘুরে দাঁড়াল। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারটা তিনি করলেন। বিচারের রায় একের পর এক কার্যকর হচ্ছে। বাকি যে কজন আছে, অবশ্যই তারা যেখানে আছে, যখনই তারা ফিরে আসবে, তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে ইনশাআল্লাহ।”

একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু বক্তব্য দেন।

Link copied!