বাইডেন- মোদি বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ থাকছে: জন কিরবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুন ২৩, ২০২৩, ০১:২২ এএম

বাইডেন- মোদি বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ থাকছে: জন কিরবি

সংগৃহীত ছবি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে অনুষ্ঠেয় বহুল আলোচিত বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ স্থান পাবে। এবিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটন ও দিল্লি কোনো কথা না বললেও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়ক অ্যাডমিরাল জন কিরবি এ বিষয়টি প্রেস ব্রিফিংয়ে নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে নরেন্দ্রে মোদির সফর নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ফরেন প্রেস সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জন কিরবি এ তথ্য জানান।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরে আঞ্চলিক গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে কিনা-  ওই প্রেস সেন্টারে এক বাংলাদেশি সাংবাদিকের এমন  প্রশ্নের জবাবে জন কিরবি বলেন,  “প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেখানেই যান না কেন বা যে নেতার সঙ্গেই কথা বলেন না কেন, মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরা স্বাভাবিক বিষয়।”

এসময় জন কিরবি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির মূল বিষয় হলো মানবাধিকার। তাই আপনারা নিশ্চিতভাবেই আশা করতে পারেন যে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে আমাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) উদ্বেগের কথা তুলে ধরবেন।’

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেন ওই বাংলাদেশি সাংবাদিক। প্রশ্নেটি ছিল- বাংলাদেশের আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন  অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলকভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য নতুন ভিসানীতি গ্রহণ করেছে। আপনি কি মনে করেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ভারত বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার সঙ্গে থাকবে?

এই প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়ক অ্যাডমিরাল জন কিরবি বলেন, “আমার মনে হয়, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে ভারত সরকারকে কথা বলতে দেব। আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। বাংলাদেশের নির্বাচনকে হেয় করা ব্যক্তিদের ভ্রমণ সীমিত করতে আমরা আমাদের ভিসানীতি প্রণয়ন করেছি।”

এসময়  তিনি আরও  বলেন, “আমরা কেবল আমাদের পক্ষে কথা বলতে পারি। তবে আমরা ভারত সরকারকে তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে দেব।”

Link copied!