ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে জানালে পিকে হালদারকে ফেরাতে উদ্যোগ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ১৫, ২০২২, ০৮:২৫ পিএম

ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে জানালে পিকে হালদারকে ফেরাতে উদ্যোগ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সংবাদ মাধ্যমে খবর বের হলেও বাংলাদেশের আর্থিক খাতে আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) গ্রেপ্তার করার বিষয়ে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেছেন, পিকে হালদারের বিষয়ে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেই তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সেমিনারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ কথা বলেন। ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পি কে হালদার বাংলাদেশের ওয়ান্টেড। বাংলাদেশ সরকার ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) ও তাঁর চার সহযোগীকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পি কে হালদারের সহযোগীদের মধ্যে একজন নারী ছিলেন। তাঁকে ইডির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পি কে হালদারের প্রাসাদসম বাড়িসহ অনেক সম্পদের সন্ধান পায় ইডি। সংস্থাটি পি কে হালদার ও তাঁর সহযোগীদের সম্পদের সন্ধানে গত দুই দিনে অন্তত ১০টি স্থানে অভিযান চালিয়েছে। প্রধানত আর্থিক কেলেঙ্কারি, বেআইনিভাবে ভারতে অর্থ পাঠানো, বিদেশে অর্থ পাচার ও আইনবহির্ভূত সম্পত্তির বিষয়ে তদন্ত করছে ইডি। অবশ্য এ পর্যন্ত কতগুলো বাড়ি, জমি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের হদিস পাওয়া গেছে, তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানা যায়নি।

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পি কে হালদার বাংলাদেশে আর্থিক খাতের শীর্ষ দখলদার ও খেলাপিদের একজন। ২০১৯ সালে তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে যান, পরে কানাডায় পাড়ি জমান।

পিকে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করছিলেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গে অশোকনগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ ও বসবাস, বেনামে সম্পতি ক্রয়, আইনবহির্ভূতভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অর্থ পাচারসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে গত শনিবার পিকে হালদারসহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা সংস্থা ইডি।

Link copied!