আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে ইলেকশন শেখাতে হবে না। ভালো নির্বাচনের শুরু হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাত ধরে। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে তিনি তা বাস্তবায়ন করেছেন।’
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন রণকৌশলে অবলম্বন করতে হয়েছে। দুই একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।’
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘যারা এই নির্বাচন বয়কট করেছে তারা অনেক কথাই বলেছে নির্বাচনে আসবে না হতে দেবে না প্রতিহত করবে। বিরোধীদলীয় আস্ফালন এখন কোথায় গেল? জনগণের সাথে তারা প্রতারণা করতে চেয়েছিলো। পর্যবেক্ষক বিদেশি সাংবাদিক কেউ নির্বাচন নিয়ে কিছু বলেনি।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে মধ্যপ্রাচ্যসহ বহু দেশকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভালো নির্বাচন হয়েছে সেই প্রশংসা আমরা শুনেছি। বাংলাদেশের একটি মহল এই নির্বাচন পছন্দ করছে না এবং এই সংসদ অবৈধ বলে আখ্যা দিচ্ছে। তাহলে বৈধতা কীভাবে পাবে? প্রহসনের নির্বাচন, মাগুরা মার্কা ইলেকশন করলে কী বৈধতা পাবে নাকি জিয়ার মতো হা/না ভোটের নির্বাচন করলে পাবে?’
নির্বাচনকে স্বাধীন দাবী করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এই ইলেকশনে সরকারি দলের প্রার্থী বাতিল করা হয়েছে, শোকজ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে ডেকে ভৎসনা করা হয়েছে এটি বিরল। দেশের নির্বাচন কমিশন স্বাধীন করে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
এসময় তিনি বলেন, ‘বিএনপি হতাশাগ্রস্ত, তাদের এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা যাচ্ছে। তাদের জাম্বুজেট মার্কা কমিটি যা এখনো বহাল রয়েছে। যে দলের নিজেদের ঘরেই গণতন্ত্র নেই তারা আবার দেশের গণতন্ত্র কী ঠিক করবে।’
‘বিএনপি গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাদ দিয়েছে কারণ তাদের সাত ধারায় ছিল কোন ব্যক্তি নেতা দেউলিয়া কিংবা দুর্নীতিগ্রস্থ হলে বিএনপি করা যাবেনা। রাতারাতি নির্বাচন কমিশনে যেয়ে তারা সেটা বাতিল করেছে।
অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে তারা তারেক জিয়াকে করেছে ভাইস চেয়ারম্যান। সংবিধান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তফসিল ও নির্বাচন হয়েছে। তারা (বিএনপি) নিজেরাই নিজের অফিসে তালা লাগিয়ে সরকারের উপর দোষ চাপায় তারা এসবে হস্তসিদ্ধ। সংবিধান কিন্তু তালা লাগানো তালা ভাংগা না। পড়াশোনা করতে হবে।’- যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচন পাতানো হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘দেশের নামি-দামি মানুষ গুলো তাহলে কেন প্রশংসা করে। পাকিস্তানের হাই কমিশনও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পিটার হাসও অভিনন্দন জানিয়েছেন, তাহলে কাকে নিয়ে খেলবেন? অপেক্ষায় আছেন ভিসা নিষেধাজ্ঞার। অপেক্ষা করুন ধৈর্য ধরুন রোজ কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। নতুন ট্রেন চালু হবে পাঁচ বছর পর। এই ট্রেনের গন্তব্য শেষ।’