ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০২:৫৬ পিএম
বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় রাজনৈতিক মিছিল, সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ নিষিদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ নির্দেশে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, সরকার দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েমের জন্যই খোঁড়া অজুহাতে বায়তুল মোকাররম এলাকায় মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধের পাঁয়তারা করছে। বায়তুল মোকারম মসজিদ গেটে যে সকল ইসলামী দল মিছিল মিটিং করেন, তারা মূলত মসজিদের সম্মান রক্ষা করে এবং মুসল্লিদের যেন কোন সমস্যা না হওয়া সেদিকে সুদৃষ্টি রেখেই মিছিল মিটিং করে থাকেন। কাজেই নামাজে আসা মুসল্লিরা আতঙ্কিত হওয়ার অজুহাতে জাতীয় মসজিদ এলাকায় মিছিল মিটিং নিষিদ্ধের পাঁয়তারা করলে তা সরকারের জন্য সুখকর হবে না।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, প্রহসনের নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়ার পর সরকারবিরোধী দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। সরকার জনরোষের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে বিরোধী দলসহ ইসলামী দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে সরকার। ঐতিহাসিক প্রাণকেন্দ্র জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় মিছিল মিটিং নিষিদ্ধের পাঁয়তারা সফল হবে না। রাজনীতি, মিছিল মিটিং নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার।
সংবিধানের ৪১ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- (ক) প্রত্যেক নাগরিকের যেকোনো ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে; (খ) প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপ-সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কাজেই মুসল্লিরা ভয় পান, আতঙ্কিত হন এই অজুহাতে মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধের এখতিয়ার কারো নেই। এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেশে নতুন করে সঙ্কট সৃষ্টি করবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও গণরোষ সৃষ্টি হবে। কাজেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে বিরত থাকতে হবে।