আদালতের নিষেধাজ্ঞায় চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে সরিয়ে রেখে জাতীয় পার্টি (জেপি) শনিবার রাজধানীতে দলের ১০ম জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করেছে।
শনিবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে গুলশানের ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে সম্মেলন শুরু হয়। সভাপতিত্ব করেন দলের প্রবীণ নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজারো নেতাকর্মী ব্যান্ডের বাদ্যের তালে শ্লোগান দিতে দিতে সম্মেলনস্থলে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেপি সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও কাজী ফিরোজ রশিদ।
শুক্রবার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সম্মেলনকে “ঐক্যের সম্মেলন” আখ্যা দিয়ে বলেন, “এখানে বিভেদের কোনো প্রশ্ন নেই। এটি এরশাদ সাহেবের নিবন্ধিত লাঙ্গল মার্কার জাতীয় পার্টির সম্মেলন।”
দলীয় বিরোধ তীব্র হয় গত ৭ জুলাই, যখন জি এম কাদের আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, মুজিবুল হক চুন্নুসহ ১০ জন শীর্ষ নেতাকে অব্যাহতি দেন। পরে আদালত ৩১ জুলাই কাদের ও যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমকে সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে বিরত থাকার নির্দেশ দেন।
এরপর মঙ্গলবার এম এ রাজ্জাক খান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়।
তিন দিন পর আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নু সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সম্মেলনের ঘোষণা দেন, দাবি করেন আদালতের রায়ে তারা বহাল হয়েছেন এবং জি এম কাদের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন।
চুন্নু জানান, এ সম্মেলনের লক্ষ্য দলকে “সাংগঠনিক স্থবিরতা” থেকে মুক্ত করা এবং “দায়িত্বশীলতা, শৃঙ্খলা ও ঐক্যের” বার্তা দেওয়া। তিনি একে “আত্মশুদ্ধি ও গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব পুনর্গঠনের” সম্মেলন হিসেবে বর্ণনা করেন।
আনিসুল জানান, রওশন এরশাদ ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ অন্য নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে এবং কাউন্সিল শেষে সব পক্ষ ঐক্যবদ্ধ হবেন বলে আশা করছেন।
জাতীয় পার্টির শেষ জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর।