প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন জানিয়েছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার বিকেলে তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে সকালে রংপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি বলেন, বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো এবং আরও উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, “আমরা চাই মানুষ যেন শান্তিপূর্ণ ও নির্ভয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারে। কিন্তু মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাওয়া ভুলে গেছে। তাদের ফিরিয়ে আনা নির্বাচন কমিশনের বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য সচেতনতা তৈরি জরুরি, আর এতে সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।”
অস্ত্রের চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এআই
সিইসি আরও বলেন, “এখন অস্ত্রের চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর অপব্যবহার। এআই হচ্ছে বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার। পেশাদার সাংবাদিকরা আমাদের সহযোগী—তারা স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য কাজ করবেন, এই প্রত্যাশা আমাদের আছে। তবে যারা ফেসবুকে সাংবাদিকতা করেন, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা ছাড়া, তাদের নিয়ে সমস্যা আছে। তারা প্রধান উপদেষ্টা ও আমাকে নিয়ে নানা ভিডিও বানিয়ে সামান্য লেখা দিয়ে ছেড়ে দেয়, যা অনেকেই বুঝতে পারেন না।”
তিনি স্বীকার করেন, নির্বাচন ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা কমে গেছে। তবে কমিশন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টায় একটি ভালো নির্বাচন সম্ভব এবং হারানো আস্থা পুনরুদ্ধার করা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সিইসি জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট নিশ্চিত করাই এখন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে তিন দিনের সফরে রংপুরে অবস্থান করছেন সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন।